আইআরজিসির লুকোচুরি, আটক ৫২ জন জীবিত না মৃত জানা যাচ্ছে না

দক্ষিণ-পূর্ব ইরানে অভিযান চালিয়ে ৫২ জনকে ধরে নিয়ে গেছে ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি)। এরপর তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা নিয়ে চলছে লুকোচুরি। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের।
আইআরজিসি জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ-পূর্ব ইরানে ৫২ জনকে হত্যা করেছে বা আটক করেছে। যেসব স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে তা ইসরায়েল-সম্পর্কিত সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করা হতো।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ড্রোন নাশকতায় জড়িত বিদেশি নাগরিকসহ পাঁচ ব্যক্তি এখনো পলাতক। অভিযুক্তরা ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে কাজ করছিলেন। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।
বিবৃতিতে নিহত বা গ্রেপ্তারের সংখ্যা, নাম বা অভিযানের বিবরণ সম্পর্কে আর কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত তাসনিম সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনের পর এ বিবৃতি দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে গত এক সপ্তাহ ধরে অভিযানে দুজন নিহত এবং ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সেখান কুদস ঘাঁটি জানিয়েছে, অভিযানটি পূর্বে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত স্থাপনা লক্ষ্য করে করা হয়েছিল।অভিযুক্তরা নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে দেওয়ার এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, অর্থনৈতিক সম্পদের বিরুদ্ধে নাশকতা চালানোর লক্ষ্যে করছিল।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরানজুড়ে তীব্র দমনপীড়ন চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৫২ জনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা এসেছে। এর আগে ইসরায়েলের সাথে কাজ করার অভিযোগে ৭০০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কতজন নিহত বা মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মুখে তাও স্পষ্ট করেনি ইরান।
২০২২ সালের জাহেদান গণহত্যার পর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশটিতে অস্থিরতা লেগেই আছে। ইসরায়েলের হামলার পর আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির শাসনব্যবস্থার আবারও দমনপীড়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে অঞ্চলটি।
Comments