আজ নয়া পল্টনে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেছেন হাইকোর্ট। এই আদেশের ফলে ইশরাককে শপথ পড়াতে বাধা নেই। হাইকোর্টের এই ঐতিহাসিক রায় উপলক্ষ্যে আজ নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। তিনি তার বক্তব্যের শুরুতে হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানান।
রিজভী আহমেদ বলেন, ক্ষমতাসীনরা বিএনপির সাথে পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া বাঁধাতে চাচ্ছে। উপদেষ্টারা দেশের স্বার্থে কাজ করছে কি না তা নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ড. খলিলকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে দেশে বিদেশে তার অবস্থান জনগণের সামনে পরিষ্কার করতে হবে। কারণ তিনি কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন।
এসময় রিজভী আরো বলেন'নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের দেয়া বক্তব্যে দেশের মানুষ বিস্মিত, হতবাক, উদ্বিগ্ন এবং ক্ষুব্ধ হয়েছে। ফ্যাসিবাদের প্রতিভূ হাসিনা যেভাবে গণতন্ত্রকে কফিন পড়িয়ে, তথাকথিত উন্নয়নের ইন্দ্রজাল সৃষ্টির জন্য জিয়া পরিবারকে নিয়ে কুৎসা রটাতেন, উপদেষ্টার এই মন্তব্য বা এই বক্তব্য তারেক রহমানকে নিয়ে যেন সেটারই, সেই ফ্যাসিবাদেরই বক্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি বলে জনগণ মনে করে।'
তিনি বলেন, 'এখনও যেন লোকমানুষে উজ্জ্বলতর তারেক রহমানের ভাবভূর্তিকে বিনষ্ট করার জন্য প্রতিশোধের চোরা স্রোতে আঘাত হানার চেষ্টা চলছে—নানা মহল থেকে, নানা দিক থেকে। ড. খলিলুর রহমান যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবন প্রসঙ্গটি যেভাবে উপস্থাপন করেছেন, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিমূলক।'
তিনি আরও বলেন, 'ধান ভাঙার সময় শিবের গান গাওয়ার মতো ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, "আমি কেবল আমেরিকায় থাকি বলে যদি আমাকে বিদেশী নাগরিক বলা হয়, তাহলে কালকে তারেক রহমানকেও একই কথা বলতে হবে। আমাকে ঢিল নিক্ষেপ করা হয়, তবে সেই ঢিল অন্যদের ওপরও পড়তে পারে।" এটা কে বলেছে? যারা আপনাকে এসব বলেছে, তাদের সঙ্গে আপনার কথাবার্তা হতে পারে। তারেক রহমান এখানে আসলো কী করে? সাংবাদিকদের সঙ্গে আপনার আলোচনায় উনি উপযোগ্য হলেন কী করে?'
'তিনি (তারেক রহমান) একজন বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেই দলের চেয়ারম্যান তিনি নিজেই। তাহলে অপ্রাসঙ্গিকভাবে তাকে আলোচনায় টেনে আনার অর্থ কী? নিশ্চয়ই আপনারা মুখে যাই বলুন, অন্তরে অন্য কোনো প্রতিক্রিয়া, বিস্ময় বা বিষক্রিয়া কাজ করছে—সেটা বারবার প্রকাশ পাচ্ছে', যোগ করেন রিজভী।
রিজভী আরও বলেন, 'এর আগেও আমরা বলেছি—সব উপদেষ্টার ব্যাপারে নয়—কিছু কিছু উপদেষ্টা মনে হচ্ছে নিরপেক্ষতার আড়ালে কোনো নির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছেন। বিশেষ করে ড. খলিলুর রহমান যেভাবে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবন প্রসঙ্গটি উপস্থাপন করেছেন, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর।'
Comments