যেসব খাবার বাড়াতে পারে অ্যাজমার ঝুঁকি

অ্যাজমা একটি দীর্ঘস্থায়ী শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ, যা জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। যদিও এই রোগের কোনো নির্দিষ্ট খাদ্য নিরাময় করতে পারে না, তবে সঠিক খাবার নির্বাচন করলে এর উপসর্গ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই যারা অ্যাজমায় ভুগছেন, তাদের জন্য খাদ্যতালিকা নির্ধারণে কিছু বিষয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা জরুরি। হেলথলাইনের প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা অ্যাজমার ঝুঁকি এড়াতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে সেই সঙ্গে কিছু খাবার খাওয়ারের তালিকাও দিয়েছেন।
যেসব খাবার উপকারী: পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাওয়া অ্যাজমার উপসর্গ কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে।
> ভিটামিন সি – কমলা, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি, ব্রোকলি ইত্যাদি।
> ভিটামিন ই – বাদাম, সূর্যমুখী বীজ, অ্যাভোকাডো।
> ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন – গাজর, মিষ্টিআলু, পালং শাক, ব্রাসেলস স্প্রাউট।
> ভিটামিন ডি – ডিম, সালমন মাছ, ফোর্টিফায়েড দুধ বা কমলার রস।
খনিজ উপাদান
> সেলেনিয়াম – মাছ, ডিম, ব্রাজিল বাদাম, ব্রাউন রাইস।
> ম্যাগনেশিয়াম – ডার্ক চকলেট, টফু, অ্যাভোকাডো, কুমড়ার বীজ।
যেসব খাবার এড়িয়ে চলা ভালো: অ্যাজমা থাকলে কিছু খাবার খেলে উপসর্গ হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। নিচের খাবারগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন:
> সালফাইটযুক্ত খাবার: শুকনো ফল, আচার, বোতলজাত লেবুর রস
> গ্যাস সৃষ্টিকারী খাবার: বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, রসুন, কার্বনেটেড পানীয়
> কৃত্রিম উপাদানসমৃদ্ধ খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড
> অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী খাবার: গম, দুধ, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ
> সালিসাইলেটে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য: চা, কফি, কিছু মশলা
স্থূলতা ও অ্যাজমা: ওজন বেড়ে গেলে ফুসফুসের উপর চাপ পড়ে, ফলে অ্যাজমার সমস্যা বাড়তে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা জরুরি। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম এবং সুষম খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এটি সম্ভব। তবে অ্যাজমা থাকলে ব্যায়াম শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
অ্যাজমা চিকিৎসার পাশাপাশি প্রতিদিনকার খাদ্যাভ্যাসেও সচেতনতা জরুরি। তাজা শাকসবজি, ফলমূল ও প্রাকৃতিক খাবার বেছে নিন। ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। মনে রাখবেন, খাদ্যতালিকার ছোট ছোট পরিবর্তনও বড় উপকারে আসতে পারে। তবে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং নির্ধারিত ওষুধ চালিয়ে যান।
Comments