চলতি মাসের ১৭ দিনে দেশে এলো ১৬১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

দেশে বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে। বিশেষত, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রবাসী আয়ের পালে যেন হাওয়া লেগেছে। একের পর এক যেন রেকর্ড হতে থাকে রেমিট্যান্স। এরই মধ্যে গত মার্চ ও এপ্রিলে যথাক্রমে দেশের ইতিহাসের একক কোনো মাসে সর্বোচ্চ এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে।
চলতি মাসেও রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারায় যেন নতুন রেকর্ডের হাতছানি দিচ্ছে। মাসের প্রথম ১৭ দিনে দেশে এসেছে ১৬১ কোটি মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ১৯ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। দেশে প্রতিদিন এই হিসেবে গড়ে ৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। চলতি মাসে এ ধারা অব্যাহত থাকলে প্রবাসী আয় ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে। রোববার (১৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, মে'র প্রথম ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬১ কোটি ডলার। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪৯ কোটি ৩৩ লাখ ডলার এসেছে। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ডলারের বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯৬ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩১ লাখ ৩০ হাজার ডলার এসেছে।
এদিকে, কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯টি। এর মধ্যে বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং সীমান্ত ব্যাংক পিএলসিও রয়েছে। এছাড়াও, বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া রয়েছে।
দেশে গত মার্চে ৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা দেশের ইতিহাসে যে কোনো এক মাসের সর্বোচ্চ। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। গত এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ১৯ লাখ ডলার এসেছে। যা দেশের ইতিহাসে কোনো এক মাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
এছাড়াও, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। গত জানুয়ারি মাসেও দেশে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
জানা যায়,২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স আসে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এরপর আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং সবশেষ এপ্রিলে রেমিট্যান্স আসে ২৭৫ কোটি ডলার।
Comments