পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১৩১ পয়েন্ট

পুঁজিবাজারে টানা পাঁচ কার্যদিবস ধরে সূচকের পতনে লেনদেন চলছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসেই পতনে ছিল। আজ সপ্তাহের শুরুর দিনেও সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শেষ হয়। পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১৩১ পয়েন্ট। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইএক্স সূচকের অবস্থান ছিল ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্টে। আজ রোববার লেনদেন শেষে সূচকের অবস্থান দাঁড়ায় ৫ হাজার ৭৪ পয়েন্টে। বাকি দুই সূচকেরও পতন হয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩৫১ কোটি টাকা। দরপতনে ছিল ৬০ শতাংশ কোম্পানি। দর বেড়েছে মাত্র ২৭ শতাংশ কোম্পানির।
সবখাতেই বড় দরপতন হলেও বীমা খাতের দর ও লেনদেন দুটোই বেড়েছে। এ খাতে ৮২ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ৩৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে বীমা খাত তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসে। ৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। এ খাতে ৮২ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। ব্যাংক খাতে ৫১ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়।
সাড়ে ১২ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়ে ইস্টার্ন ব্যাংক শীর্ষে উঠে আসলেও দরপতন হয় ১০ পয়সা। বিচ হ্যাচারির সাড়ে ১০ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দরপতন হয় সাড়ে আট টাকা।কোম্পানিটি দরপতনের শীর্ষে অবস্থান করে। মিউল্যান্ড ব্যাংকের ১০ কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটি দরবৃদ্ধিতে চতুর্থ অবস্থানে উঠে আসে। এছাড়া এসপি সিরামিকস, বিএসসি, বেক্সিমকো ফার্মা এ তালিকায় অবস্থান করে।
১০ শতাংশ বেড়ে এসআলম কোল্ড রোল্ড দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। এছাড়া সেনা ইন্স্যুরেন্স, এসপি সিরামিকসের দর প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। দরপতনে ছিল বিডি ফাইন্যান্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স, ওয়েস্টান মেরিন শিপইয়ার্ড দরপতনের তালিকায় অবস্থান করে।
অপর শেয়ারবাজার চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ২৭ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট, সিএএসপিআই সূচক কমেছে ৬১ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২১৪টি কোম্পানির মধ্যে ৬২টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৩১টির দর, অপরিবর্তিত ছিল ২১টির দর। লেনদেন হয় ৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স,ফাইন ফুডস, লোভেলো আইসক্রিম, ড্রাগন সোয়েটার। দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, সেনা ইন্স্যুরেন্স, ডেসকো, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স। দরপতনে ছিল বিডি ফাইন্যান্স, সমতা লেদার,ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, আরমিট সিমেন্ট, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ।
Comments