ম্যাচ ড্র করেও সেমির টিকিট পেল ইন্টার মিলান

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হলো ৫২ মিনিটের পর। কিন্তু এরপর মাত্র ৯ মিনিটের মধ্যে দুই দল মিলে ৩ গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তোলে। এরপর আরও একটি গোলে ম্যাচের উত্তেজনা চরমে ওঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা অমীমাংসিতভাবে শেষ হলে পার্থক্য গড়ে দিল প্রথম লেগের ফলই। তাতে বায়ার্ন মিউনিখকে বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইন্টার মিলান।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সান সিরোয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। এর আগে প্রথম লেগে বায়ার্নের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছিল ইন্টার। ফলে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে উঠে গেছে সিরি আ'র চ্যাম্পিয়নরা।
এদিন ম্যাচের ৪টি গোলই হয়েছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে। ইন্টার মিলানের পক্ষে লাউতারো মার্টিনেজ ও বেঞ্জামিন পাভার্ড গোল করেন। বায়ার্নের গোল দুটি হ্যারি কেইন ও এরিক ডিয়েরের।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইন্টার মিলান প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে বার্সেলোনাকে।
এদিন ম্যাচের একদম শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে খেলা জমে ওঠে। তবে ইন্টার মিলানের মতো পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বায়ার্ন। বেশ কয়েকটি হাফ চান্স পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে ধার খুঁজে পায় বায়ার্ন। সপ্তম মিনিটেই হ্যারি কেইন গোল করলে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইনে ২-২ সমতা আসে। ইন্টার বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে লিওন গোরেতস্কা বল পেয়ে যান। তিনি বক্সে খুঁজে নেন হ্যারি কেনকে। প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে জাল খুঁজে নেন এই ইংলিশ স্ট্রাইকার।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি কেইনের ১১তম গোল।
তবে বায়ার্নের এই গোলের স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। গোল হজমে উল্টো তেতে ওঠে স্বাগতিকরা। ৫৮ থেকে ৬১, এই ৩ মিনিটেই ২ গোল করে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ৪-২ করে ফেলে ইন্টার।
প্রথম গোলটি আসে মার্টিনেজের পা থেকে। কর্নারে মার্টিনেজের হেড প্রথমে বায়ার্নের এক ডিফেন্ডারের পায়ে বাধা পেলেও ফিরতি বল জালে পাঠান এই আর্জেন্টাইন।
ইন্টার মিলানের প্রথম খেলোয়াড় হিসেব চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে গোলের দেখা পেলেন এই আর্জেন্টাইন।
৩ মিনিট পর ইন্টারের দ্বিতীয় গোলটিও আসে কর্নার থেকেই। বক্সের বাইরে মাত্তেও দারমিয়ানের শট গোললাইনে প্রতিহত হলে কর্নার পায় ইন্টার। কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলে হেড করে গোল করেন পাভার্ড।
তবে ম্যাচের উত্তেজনা বাকি তখনও। ৭৬ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে সমতা ফেরান ডিয়ের।
ম্যাচের বাকি সময়টা এক গোলের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে গেছে বায়ার্ন। শেষ দিকের পুরো সময়টা ইন্টারের অর্ধেই খেলা হয়। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বায়ার্ন। কিন্তু দুর্বল হেডে সুযোগ নষ্ট করে বায়ার্ন।
ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে কিংসলে কোম্যানের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যাওয়ার পরেই শেষ বাঁশি বাজান রেফারি। উল্লাসে ফেটে পড়ে সানসিরোর দর্শকরা।
Comments