প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত নিয়োগপ্রত্যাশীর আন্দোলন প্রত্যাহার করে যোগদান করতে নিজ নিজ জেলায় ফিরে যাচ্ছেন।
আজ সোমবার দুপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। তাদের এক মাসের মধ্যে যোগদান করতে বলা হয়েছে।
রায় ঘোষণার পর ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার শিক্ষক তালুকদার পিয়াস বলেন, 'আমাদের নিয়োগ দেওয়ার দাবি যে ন্যায়সংগত ছিল, তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। আর আন্দোলন নয়, আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।'
ফাহাদ নামের আরেক শিক্ষক বলেন, 'মিডিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের উপকারের কথা ৬ হাজার ৫৩১ জন সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষক কখনো ভুলবে না। এ বিজয়ে আপনাদের ভূমিকা অনেক বেশি, স্যালুট সব মিডিয়া ভাইয়াদের।'
গত ৩১ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করে তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। ২০২৩ সালের ১৪ জুন এ নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে কোটায় নির্বাচিত হওয়া ৬ হাজার ৫৩১ জনের ফল বাতিল করেন হাইকোর্ট। আদালত মেধার ভিত্তিতে নতুন করে ফল প্রকাশের আদেশও দেয়। সেদিন রাত থেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীরা।
৩০ চাকরিপ্রার্থীর করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দিয়েছিলেন। ফলে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সেই রুলের ওপর রায় দেওয়া হয়।তাঁরা নিয়োগ নিশ্চিতের দাবিতে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন।
Comments