ডিম আসল নাকি নকল চিনবেন যেভাবে

ডিম খুবই উপকারী খাবার। অল্প দামে এবং সহজেই হাতের নাগালে পাওয়া পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যে এগিয়ে ডিম। মুখরোচক বিভিন্ন পদে রাখা হয় ডিম। সবমিলে আট থেকে আশি পর্যন্ত প্রায় অধিকাংশ মানুষই ডিম পছন্দ করেন।
এদিকে মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেখা যায়, নকল ডিমে বাজার সয়লাব। প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবারও নাকি নকল হয়। এ ধরনের চর্চা কানে ভেসে আসতেই চিন্তার ভাঁজ দেখা যায় কপালে। অনেকেই প্রশ্ন রাখেন, আসলেও কি ডিম নকল করা সম্ভব? নকল হলে কীভাবে বুঝতে পারব? এ নিয়েই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
কীভাবে নকল ডিম তৈরি হয়: নকল ডিমকে জিলেটিন, সোডিয়াম এলগিনেট ও হলুদ ফুড কালার দিয়ে তৈরি করা হয়। এর সাদা অংশ এবং খোসা তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় প্যারাফিন মোম, জিপসাম পাউডার ও ক্যালসিয়াম সালফাইড পাউডার।
নকল ডিম চেনার উপায়: আসল ও নকল ডিম যাচাই করতে গেলে প্রথমেই ডিমের খোসায় নজর দিতে হবে। আসল ডিমের খোসা উপর থেকে হালকা রুক্ষ এবং প্রাকৃতিকভাবে অনিয়মিত হয়ে থাকে। বিপরীতে নকল ডিমের খোসা বেশ চকচকে, উজ্জ্বল ও প্লাস্টিকের মতো হয়ে থাকে দেখতে।
পানি দিয়ে পরীক্ষা: পানিতে ছেড়ে দিয়ে আসল ও নকল ডিম পরীক্ষা করা যায়। এ জন্য প্রথমে পানির মধ্যে ডিম ডুবিয়ে দিতে হবে। ডিম আসল হলে ধীরে ধীরে ডুবে ডাবে। বিপরীতে ডিমে ভেজাল থাকলে তা ভেসে থাকবে। কেননা, এতে কেমিক্যাল ও প্লাস্টিকজাতীয় পদার্থ রয়েছে। যা তুলনামূলক বেশ হালকা।
ডিম নাড়িয়ে দেখা: আসল ও নকল ডিম যাচাইয়ের জন্য ডিমকে কানের পাশে নিয়ে ধীরে ধীরে ঝাঁকিয়ে দেখুন। ডিম আসল ও পুরনো হয় তাহলে হালকা শব্দ হবে। অন্যদিকে ডিম নকল ঝাঁকালে শব্দ বেশি হবে।
সেদ্ধ করা: ডিম সেদ্ধ করার পর আসল হলে তার আকার একই থাকবে। তবে নকল ডিম হলে তা সেদ্ধ করার পর রাবারের মতো দেখাবে। আবার অনেক সময় কেমিক্যালের গন্ধ বের হয়।
জ্বালিয়ে দেখা: উল্লেখিত সব পদ্ধতি ছাড়াও আসল ও নকল ডিম জ্বালিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। জ্বালানোর পর নকল ডিমের খোসা প্লাস্টিকের মতো ধীরে ধীরে গলে যাবে। এ সময় অদ্ভূত গন্ধ বের হবে। বিপরীতে ডিম আসল হলে তাড়াতাড়ি পুড়বে না এবং খোসা ছাই হয়ে যাবে।
Comments