বিনিয়োগের জন্য আস্থাশীল ১০ বীমা কোম্পানি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছে নানা কারণে আলোচনায় থাকে। পুঁজিবাজারে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বেশকিছু কোম্পানি নিরাপদ ও ভালো শেয়ার হিসেবে বিবেচিত।
ঢাকা জার্নাল ১০টি নির্ভরশীল নন-লাইফ বীমা কোম্পানির রেটিং করেছে পুঁজিবাজারে তাদের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে। এরমধ্যে শীর্ষে রয়েছে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স পিএলসি।
১. গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স: অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৬৩২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। লভ্যাংশ ঘোষণার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস, ২০২০ সালে ২৪.৫০ শতাংশ নগদ ও ৭.৫ শতাংশ বোনাস, ২০২১ সালে ৩০ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ২৫ শতাংশ নগদ ও ২০২৩ সালে ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এক বছরের দর ওঠানামা: ৭২.৮০-৪১.০০ । বাজার মূলধন:৪৫৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
২. রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স: অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ১০৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫৯৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে ২৫ শতাংশ নগদ, ২০২০ সালে ২৫ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ২৫ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ২৫ শতাংশ নগদ ও ২০২৩ সালে ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে । ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এক বছরের দর ওঠানামা: ৭৮.৯০-৫০.৯০ । বাজার মূলধন: ৫৯৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
৩. পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স: অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ৯৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩১৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে ২০ শতাংশ নগদ, ২০২০ সালে ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস, ২০২১ সালে ২৫ শতাংশ নগদ, ১০ শতাংশ বোনাস, ২০২২ সালে ২৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস ও ২০২৩ সালে ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এক বছরের দর ওঠানামা: ৭২.৮০-৪১.০০ । বাজার মূলধন:৪৩৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
৪. প্রগতি ইন্স্যুরেন্স: অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ৭৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে ২২ শতাংশ নগদ, ২০২০ সালে ৩০ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ৩৫ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ২৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস, ২০২৩ সালে ২০ শতাংশ নগদ ও ৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এক বছরের দর ওঠানামা: ৬৪.৮০-৪৩.৯০ । বাজার মূলধন: ৩৮১ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
৫. এশিয়া ইন্স্যুরেন্স: অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ৪৭ কোটি ০৭ লাখ টাকা। রিজার্ভে আছে ৪২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ নগদ, ২০২০ সালে ১২ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ১৫ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ১১ শতাংশ নগদ ও ২০২৩ সালে ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এক বছরের দর ওঠানামা: ৫৩.৫০-২১.০০ । বাজার মূলধন : ১৯০৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
৬. ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স: অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ৪৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। রিজার্ভে আছে ৯৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে ২০ শতাংশ নগদ, ২০২০ সালে ২০ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ২২ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ২২ শতাংশ নগদ ও ২০২৩ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এক বছরের দর ওঠানামা: ৭৩.৭০-৩৮.১০ । বাজার মূলধন: ২০১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
৭. ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স: অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ৮৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। রিজার্ভে আছে ৯৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস, ২০২০ সালে ৭ শতাংশ নগদ ও ৩ শতাংশ বোনাস, ২০২১ সালে ১ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এক বছরের দর ওঠানামা: ৩২.০০-১৫.১০ । বাজার মূলধন:১৪৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
৮. প্রাইম ইন্স্যুরেন্স: অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। রিজার্ভে আছে ৪৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ১৫ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ২০২৩ সালে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে । ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এক বছরের দর ওঠানামা: ৬১.৮০-৩১.২০। বাজার মূলধন: ১৩৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
৯. ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স: অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১০৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে ১২ শতাংশ নগদ, ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ১৫ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ১৫ শতাংশ নগদ ও ২০২৩ সালে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এক বছরের দর ওঠানামা: ৪৩.৫০-২০.০০ । বাজার মূলধন : ১০১ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
১০. রূপালী ইন্স্যুরেন্স: অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ৭৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। রিজার্ভে আছে ৮২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ নগদ , ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ১০ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এক বছরের দর ওঠানামা: ৩৯.৯০-১৬.৮০ । বাজার মূলধন : ১৬৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
✅ বিশ্লেষণ:
• গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স ধারাবাহিক উচ্চ লভ্যাংশ, সর্বোচ্চ রিজার্ভ থাকার কারণে স্থিতিশীল ও নিরাপদ বিনিয়োগ বিকল্প।
• রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স শক্তিশালী রিজার্ভ ও বাজার মূলধনের কারণে বিনিয়োগের জন্য উত্তম।
• পাইওনিয়ার ও প্রগতি ইন্স্যুরেন্স নগদ ও বোনাস লভ্যাংশে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার কারণে চমৎকার বিনিয়োগযোগ্য শেয়ার।
Comments