ঘুষের টাকা ফেরত পেতে সাধারণ কৃষকদের মানববন্ধন
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া শাখার নৈশ্যপ্রহরী আলমাছ হোসেনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগী কৃষক ও সেচপাম্প গ্রাহকরা। রোববার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন অফিসের মুল ফটকে এই মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয় ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধনে বক্তরা জানান, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎকারী আলমাছ হোসেন বিভিন্ন সময়ে সেচের লাইসেন্স পায়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ৩০ জন কৃষকের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এতে করে গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হয়েছে। তাই এই দুর্নীতিবাজ আলমাছ হোসেনের চাকরি অপসারনের পাশাপাশি ভুক্তভোগীরা তাদের টাকা ফিরিয়ে পাওয়ার দাবি জানান।
সলপ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের ভুক্তভোগী সেলিম রেজা জানান, আমরা উল্লাপাড়ার প্রান্তিক কৃষক আমাদেও কাছ থেকে ধোকা দিয়ে এই অফিসের নৈশ্য প্রহরী আলমাছ হোসেন বিভিন্ন সময়ে আমার কাছ থেকে লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলে ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আমরা একাধিকবার অভিযোগ দিলেও এখনো কোন সমাধান পাইনি।
আরেক ভুক্তভোগী উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের হায়দার আলী জানান, দীর্ঘ ২ বছর ধরে এই প্রতারক আলমাছ হোসেনকে ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল সেচের লাইসেন্স এর জন্য কিন্তু এখনো লাইসেন্স পাইনি। সে একজন নৈশ্য প্রহরী হয়েও তার চলা ফেরা ছিলো একজন কর্মকর্তার মত। সাধারণ কৃষকরা সেচ অফিসে আসলে সে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে লাইসেন্স করে দিবে মর্মে ধাপে ধাপে টাকা আত্মসাৎ করা শুরু করে। আর তার এই প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রায় ৩০ জন কৃষক সর্বশান্ত হয়ে গেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও কোন কাজেই আসছে না। এই প্রতারক আলমাছের চাকুরি আপসারণ সহ তার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন উল্লাপাড়া জোনের সহকারী প্রকৌশলী শাহী আমিন জানান, এ বিষয়ে কৃষকদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ দুইবার তদন্ত শেষ করেছে। আশা করা যায় খুব দ্রুতই এর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Comments