তালেবান নারীদের মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয় নাঃ মালালা ইউসুফজাই

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাই আফগানিস্তানের তালেবান সরকার ও তাদের দমনমূলক নারী নীতিমালাকে চ্যালেঞ্জ করতে মুসলিম নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আফগানিস্তানে তালেবান নারীদের মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয় না।' ইসলামি দেশগুলোতে নারী শিক্ষা নিয়ে পাকিস্তানে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে মালালা এমন আহ্বান জানান। খবর বিবিসি'র।
২৭ বছর বয়সী মালালা বলেন, নারীদের পড়াশোনা ও কাজ করতে না দেওয়াসহ তালেবানের আরও যে নীতিমালাগুলো আছে, তাতে ইসলামি কিছু নেই। মালালার বয়স যখন ১৫ বছর, তখন তিনি এক তালেবান বন্দুকধারীর হামলার শিকার হন। নারী শিক্ষার পক্ষে কথা বলায় তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য মালালাকে যুক্তরাজ্যে নেওয়া হয়।
২০১২ সালের হামলার পর মালালা হাতে গোনা কয়েকবার পাকিস্তানে ফিরেছেন। এর মধ্যে প্রথমবার পাকিস্তানে ফিরেছিলেন ২০১৮ সালে। আর এবার আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে আবারও পাকিস্তানে ফিরেছেন।
গতকাল রোববার ইসলামাবাদের সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী মালালা জানান, নিজ দেশে ফিরতে পেরে তিনি উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত। মালালা বলেন, যে-সব নারী তালেবানের অন্ধকার আইনগুলো ভঙ্গ করে- তাদের মারধর, আটক এবং ক্ষতি করার মধ্য দিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়। মালালা আরও বলেন, সরকার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ন্যায্যতার আড়ালে তাদের অপরাধ ঢেকে রাখে। অথচ এগুলো ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে যায় না।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক করপোরেশন (ওআইসি), পাকিস্তান সরকার ও মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ওই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। ওই সম্মেলনে তালেবান সরকারের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাঁরা সেখানে যোগ দেননি।সম্মেলনে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নারী শিক্ষার পক্ষে সোচ্চার বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও শিক্ষাবিদ অংশ নেন।
Comments