চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে বিধ্বস্ত হয়ে হতাশ আনচেলত্তি

বছরের প্রথম এল ক্লাসিকো, তাও আবার স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনাল! নিঃসন্দেহে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য দারুণ একটা রাত কেটেছে; বিশেষ করে বার্সা সমর্থকদের। এই ফাইনালে রিয়ালকে তো স্রেফ উড়িয়েই দিয়েছে বার্সেলোনা। শেষ পর্যন্ত কাতালানদের কাছে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। ম্যাচশেষে দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

মরুর বুকে বছরের প্রথম এল ক্লাসিকো, রিয়ালের জন্য ম্যাচটি ছিল প্রতিশোধের। তবে প্রতিশোধ তো দূরে থাক, কোনোরকম প্রতিরোধই গড়তে পারেনি মাদ্রিদের এই দলটি। শেষ পর্যন্ত বড় ব্যবধানের হারে শিরোপা খোয়াতে হয়েছে বার্সেলোনার কাছে।

বার্সার বিপক্ষে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল আনচেলত্তির দল। কিন্তু এগিয়ে গিয়েও সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি তারা। পুরো ম্যাচেই রিয়ালের ওপর রীতিমতো প্রভাব বিস্তার করে খেলেছে বার্সেলোনা।

সৌদি আরবের জেদ্দায় বার্সেলোনার একের পর আক্রমণে যেন কোনঠাসা হয়ে পড়ে রিয়ালের রক্ষণ। এ দিন ভিনিসিয়ুস-বেলিংহামদের যেন খুঁজেই পাওয়া যায়নি। দলের এমন পারফরম্যান্সে ভীষণ হতাশ আনচেলত্তি।

'এটা বাজে একটি রাত। আমরা আমাদের সব সমর্থকদের মতোই হতাশ। আমাদের এটা আড়াল করা উচিত হবে না, এটাই ফুটবল। কখনও আমরা জিতবো, আবার কখনও হার থেকে আমাদের শিখতে হবে। আমাদের সামনে তাকাতে হবে।' 

ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৪-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এত বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার ঘুরে দাঁড়ানো কঠিনই ছিল বটে। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর পরিবর্তে দর্শক-সমর্থকদের হতাশ করে আরও করুণ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে রিয়াল।

আনচেলত্তি বলেন, 'আমরা খুব বাজেভাবে ডিফেন্ড করেছি। এটা খেলায় আমাদের ক্ষতির কারণ হয়েছে। তারা খুব সহজেই গোল পেয়ে গেছে। প্রবল চাপের মুখে আমরা ভালোভাবে রক্ষণ সামলাতে পারিনি। বিরতির সময় আমি বলেছি যে, আমাদের ফুটবল খেলার চেষ্টা করা উচিত। কারণ প্রথমার্ধে আমরা ফুটবলই খেলিনি।'

তিনি আরও বলেন, 'লং বল খেলেছি, কিন্তু সেটা আমাদের পরিকল্পনা ছিল না। আমরা যেভাবে খেলতে চেয়েছি, সেভাবে খেলতে পারিনি। আমি তাদের বলেছি তারা হারতে পারে, কিন্তু প্রথমার্ধে আমরা যে ফুটবল খেলেছি, সেভাবে খেলে নয়।'