দিল্লির বাতাসের গুণমাণ সূচক নেমেছে ৪৫০ এর নিচে
কয়েক সপ্তাহ ধরেই দিল্লির বাতাসের গুণমান সূচক উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে আগের দিনের তুলনায় বাতাসের গুনগত মান সামান্য উন্নতি হলেও বিপদ কাটেনি।
বুধবার দিল্লির বাতাসের গুণমাণ সূচক নেমেছে ৪৫০-র নিচে। তবে এখনই বিপদ কাটছে না রাজধানীর। সকাল থেকেই ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি এবং তার আশপাশের অঞ্চল। দৃশ্যমানতাও যথেষ্ট কম।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্য বলছে, বুধবার সকালে রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচক নেমেছে ৪২২-এ। সাধারণত বাতাসের গুণমানের সূচক ৪৫০ অতিক্রম করলেই তা 'অতি ভয়ানক' বলে বিবেচিত হয়।
গত কয়েক দিন রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচকের মান ৪৫০ পেরিয়ে গিয়েছিল। বুধবার সে তুলনায় কিছুটা কম হলেও বিপদসীমার খুব কাছে দিল্লির গুণমান। দূষণ হ্রাসের ইঙ্গিত মিললেও এখনও দিল্লির ১২টির বেশি জায়গার বাতাস 'অতি ভয়ংকর' পর্য়ায়ে রয়েছে।
রাজধানী ও সংলগ্ন অঞ্চলে বাতাসের গুণমান পর্যবেক্ষণের জন্য মোট ৩৫টি কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় এক ডজন কেন্দ্রের বাতাসের গুণমান সূচক ভয়ানক পর্যায়ে রয়েছে। তবে দিল্লির রোহিণী, আনন্দ বিহার, অশোক বিহার, নরেলা, আলিপুর, সনিয়া বিহার, বাওয়ান, মুন্ডকা এবং জাহাঙ্গিরপুরীর মতো এলাকায় বাতাসের গুণমাণ সূচক ৪৫০-এর ওপর। আবার কয়েকটি জায়গায় গুণমান সূচক ৫০০ ছুঁয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবারও দিল্লিতে ঘন কুয়াশা থাকবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করবে।
দিল্লির দূষণ মোকাবিলায় একাধিক কড়া নির্দেশ জারি করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণের চতুর্থ স্তরের (সর্বোচ্চ) পদক্ষেপ (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৪ বা জিআরএপি ৪)। সুপ্রিম কোর্ট সোমবারই নির্দেশ দিয়েছে, আদালতকে না জানিয়ে চতুর্থ স্তরের নিয়ন্ত্রণবিধি শিথিল করা যাবে না।
দূষণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দিল্লির সমস্ত স্কুলে অনলাইন মাধ্যমে পাঠদান শুরু হয়েছে। এমনকি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলোতেও অনলাইন পাঠদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনলাইন ক্লাস হবে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও।
শুধু দিল্লিতেই নয়, গুরুগ্রাম এবং নয়ডার স্কুলগুলোতেও অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে ট্রেন এবং বিমান পরিষেবা।
একাধিক কড়াকড়ি জারি করেও দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এমন পর্যায়ে রাজধানীতে প্রয়োজন কৃত্রিম বৃষ্টির। সেই কথা জানিয়েই মঙ্গলবার দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তার আরও দাবি, এর আগে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর জন্য অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। তাতে সাড়া মেলেনি। এবার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই।