রেলের সেই ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা সুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে মন্ত্রণালয়
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার অভুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলার রাউজানের সাবেক এমপি এবিএম ফজলের করিমের 'ব্যক্তিগত সহকারী' হিসেবে পরিচিত সুজন চৌধুরী। যিনি ফজলে করিমের নির্দেশে চট্টগ্রামের রেল সম্পত্তি ভেলুয়ার দীঘি, আগ্রাবাদ ডেবা ও শহীদ শাহজাহান মাঠ স্বার্থান্বেষীদের বাগিয়ে দিতে যোগসাজশের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে দেওয়ার অপচেষ্টা করেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বরাবর 'রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম' নামে এক ব্যক্তির দেয়া লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসব জানা যায়। ১২ নভেম্বর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তানজিনা শাহরীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে সুজন চৌধুরী বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
অভিযুক্ত সুজন চৌধুরী- রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি গত ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের পরিচালক হিসেবে বদলি হয়েছেন।
গত ১৭ অক্টোবর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম আরো উল্লেখ করেন-রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তৎকালীন সভাপতি ফজলে করিম চৌধুরীর সুপারিশে সুজন চৌধুরী বদলি হয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা হিসেবে আসেন। তিনি চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাবের নিকট রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনির এফ/৪ নম্বর বাংলো জোরপূর্বক দখলে দেয়ার ক্ষেত্রে ফজলে করিমের নির্দেশে অফিসার্স ক্লাবের পক্ষে ভূমিকা পালন করেন। এই ফজলে করিমের আজ্ঞাবহ হিসেবে তার নির্দেশে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বাজারের প্লট-১৭০ জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকৃত লিজ গ্রহিতাকে বাদ দিয়ে অন্যজনের নামে নামজারির অনুমোদন দেন। ফজলে করিমের আয়ের উৎস তৈরি করতে তারই নির্দেশে সুজন চৌধুরী চট্টগ্রামে রেলওয়ে স্টেডিয়াম পলোগ্রাউন্ড মাঠ এবং রেলওয়ে হাসপাতালকে কুক্ষিগত করতে কর্মচারী কল্যাণ হাসপাতালের অধীনে বরাদ্দের অপচেষ্টা করেছেন। নার্সারি টেন্ডারের ক্ষেত্রে বিভ্ন্নি স্থানে টেন্ডার জমার বিধান থাকলেও শুধুমাত্র ফজলের করিমের পছন্দের ব্যক্তিকে নার্সারি লিজ দেওয়ার জন্য দরপত্র শুধুমাত্র সিআরবি ও পাহাড়তলীতে ড্রপিং করে তাকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।
অভিযোগে সুজন চৌধুরীর কর্মকাণ্ডের সঠিক তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। অভিযোগের অনুলিপি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের কাছেও দেওয়া হয়।