ভুটানকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
২০২২ সালে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার ফাইনাল ম্যাচে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এই শিরোপা জিতেছিল সাবিনা-সানজিদারা। শিরোপা ধরে মিশনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র দিয়ে এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। পরের ম্যাচে ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে তারা। আর শেষ চারের ম্যাচে ভুটানকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে পা রাখলো বাংলাদেশ।
দুই বছর আগে সাফের গত আসরে সেমিফাইনালে ভুটানকে ৮-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল কৃষ্ণা-ঋতুপর্ণারা। সেবার প্রথম গোলের দেখা মিলেছিল খেলার দুই মিনিটেই, আর আজ প্রথম গোলের দেখা মিললো ম্যাচের সপ্তম মিনিটে। ভুটানের জালে প্রথম বল জড়ান ঋতুপর্ণা চাকমা। হ্যাটট্রিক করেছেন তহুরা খাতুন। আর জোড়া গোল করে দলের ব্যবধান আরও বাড়িয়েছেন সাবিনা খাতুন।
রোববার (২৭ অক্টোবর) নেপালের কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই ভুটানের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৭ম মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বাম দিক থেকে কোনাকুনি শটে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান ঋতুপর্ণা চাকমা। এরপর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তহুরা খাতুন। শিউলি আজিমের পাস দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান সাবিনা খাতুন। চলতি আসরে এটিই তার প্রথম গোল। মনিকার আড়াআড়ি ক্রসে গোলমুখ থেকে নিখুঁত টোকায় বল জালে জড়ান তিনি।
৩৫ মিনিটে আবারও গোল করেন তহুরা। বক্সের একটু ওপর থেকে শট নেন বাংলাদেশের এই ফরোয়ার্ড। গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জড়ায় জালে।
তার ঠিক দুই মিনিট পর দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন সাবিনা খাতুন। বাম দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে কাটিয়ে নিচু শটে বল জালে প্রবেশ করান তিনি। তার কিছুক্ষণ পর ব্যবধান কমায় ভুটানের ডেকি লাহজম। ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতির পর কিছুটা ধীরগতিতে খেলতে থাকে সাবিনারা। তবুও ৫৮ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান তহুরা। বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এই ফরোয়ার্ড।
তার পাঁচ মিনিট পর দলে একসাথে তিনটি পরিবর্তন আনেন কোচ বাটলার। সাবিনা, সাগরিকা ও ঋতুপর্ণাকে তুলে মাঠে নামান স্বপ্না রানী, শাহেদা আক্তার রিপা ও সানজিদা আক্তারকে। এই ম্যাচে মাঠে নেমে সাফে অভিষেক হলো রিপার।
৭২তম মিনিটে সানজিদার কর্নারে শিউলি আজিম হেডে বল জালে জড়ান। আর তাতে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৭-১। এরপর মাসুরা পারভীনকে তুলে কোহাতি কিসকু এবং মারিয়া মান্ডাকে তুলে মাতসুশিমা সুমাইয়াকে মাঠে নামান বাটলার।
শেষ বাঁশি বাজার সাথে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশের মেয়েরা। আর ৭-১ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এই জয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে পা রাখল বাংলাদেশ।