পাখির বাসা বানিয়ে দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাটির তৈরি কলস গাছের সাথে বেঁধে দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পাখির বাসা। এরপর এসব বাসা গাছের ডালে ডালে শক্ত করে বেঁধে দেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাঁদের দাবি, পাখি শিকার বন্ধ ও জনসচেতনতা বাড়াতেই তাঁরা এমন উদ্যোগের কথা ভেবেছেন।
এই ব্যতিক্রমী কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ১০ থেকে ১২ জন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী। এই কাজে তাদের সহযোগীতা করেন সরকারি আকবর আলী কলেজের শিক্ষার্থীরাও। তাঁদের অধিকাংশই উপজেলাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যে মেহেদী, মাসুম বলেন, 'পাখির শিকার অপরাধ। অথচ আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে অবাধে পাখি শিকার করা হয়। এতে বিলুপ্তি ঘটছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির। বিশেষ করে শীত মৌসুমে বিভিন্ন অতিথি পাখির আগমন ঘটে। আর কিছু অসাধু শিকারি আছে তারা এই সব অতিথি পাখি শিকার করেন।ছোটবেলায় পাখির যে কিচিরমিচির শুনতাম, তা এখন হয়ে ওঠে না। পাখি শিকার বন্ধে জনসচেতনতা বাড়াতে ও পাখি শিকার রোধে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। তারা আরো জানান বিগত দুই দিনে উল্লাপাড়ার স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি আকবর আলী কলেজে ৫০টি মাটির কলস লাগিয়ে পাখির বাসা বানানো হয়েছে। এমনকি আমাদের এ উদ্যোগকে অব্যাহত থাকবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সরকারি আকবর আলী কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন, শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, জাকির হোসেন সহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রহিত রেজাউল, নাজমুল সব আকবর আলী কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাহেল মেহাম্মাদ হাসনাত। এ বিষয়ে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের উদ্যোগটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। পাখি শিকার বন্ধ ও জনসচেতনতা বাড়াতে এটি একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ কার্যক্রম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক—এটাই প্রত্যাশা।