জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সানাই তাকাইচি

সানাই তাকাইচি জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হতে চলেছেন । বিবিসির লাইভ আপডেটে বলা হয়েছে, নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর মঙ্গলবার উচ্চকক্ষেও বিজয়ী হয়েছেন কট্টর ডানপন্থী এই নেত্রী।
জানা গেছে, দ্বিতীয় দফা ভোটের পর, উচ্চকক্ষ তাকাইচিকে জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। ফলে সরকার প্রধানের পদে বসা এখন প্রায় নিশ্চিত। তাকাইচি উচ্চকক্ষে ১২৫টি ভোট পেয়েছেন, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় ভোটের চেয়ে এক ভোট বেশি। এর আগে, নিম্নকক্ষে তিনি ২৩৭টি ভোট পেয়েছিলেন, যা প্রয়োজনীয় ২৩৩টি সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে বেশি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাকাইচির এই ইতিহাস রচনা জাপানের 'কাঁচের দেয়াল' ভেঙে ফেলার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে এখনও পুরুষরা বেশিরভাগ ক্ষমতার অধিকারী।
রয়টার্স বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সহযোগী তাকাইচির বিজয় অনেকটা নিশ্চিত হওয়ার কারণ তার লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি গতকাল সোমবার ডানপন্থী জাপান ইনোভেশন পার্টির সঙ্গে একটি জোট চুক্তিতে সম্মত হয়েছে, যা ইশিন নামে পরিচিত।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আবের আরেকজন অনুসারী সাতসুকি কাটায়ামাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রধান পদে নিয়োগ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে কাটায়ামাও দেশটির প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী হবেন। তার এই নিয়োগ একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশটির রাজনীতিতে।
এদিকে তাকাইচি প্রধানমন্ত্রী হলে বেশ কিছু বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে মন্দা অর্থনীতির সঙ্গে লড়াই, মার্কিন-জাপানের কঠিন সম্পর্ক অতিক্রম করা এবং কেলেঙ্কারি ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জর্জরিত শাসক দলকে ঐক্যবদ্ধ করা।
বিবিসি বলছে, ১৯৬১ সালে নারায় জন্মগ্রহণ করেন তাকাইচি। তার বাবা ছিলেন বেসরকারি চাকুরে। মা পুলিশ অফিসার। তাকাইচি একসময় ছিলেন হেভি মেটাল ড্রামার। আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্র-জাপান বাণিজ্য বিরোধের সময় তিনি রাজনীতিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তিনি মোট ১০ বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, পরাজিত হয়েছেন মাত্র একবার। ধীরে ধীরে তিনি এলডিপির অন্যতম স্পষ্টভাষী রক্ষণশীল নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
Comments