হংকংয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে কার্গো বিমান সাগরে, নিহত ২

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি কার্গো উড়োজাহাজ রানওয়ে থেকে ছিটকে সাগরে পড়ে গেছে। এ সময় একটি টহল গাড়িকে ধাক্কা দিলে গাড়িটি সাগরে পড়ে যায়। গাড়িতে থাকা দুজন গ্রাউন্ড স্টাফ নিহত হন। বিমানের চার ক্রুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, দুবাই থেকে আসা এমিরেটসের ইকে ৯৭৮৮ (EK 9788) স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৫০ মিনিটে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে সরে গিয়ে একটি বিমানবন্দর টহল গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এ সময় টহল গাড়িতে থাকা দুজন নিহত হন।
ছবিতে দেখা গেছে, উড়োজাহাজটি মাঝখান থেকে ভেঙে দুই টুকরো হয়ে গেছে। বিমানের একাংশ পানিতে ডুবে রয়েছে এবং সেখানে বড় বড় ফাটল দেখা গেছে।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানে থাকা চারজন ক্রু জরুরি দরজা ভেঙে বেরিয়ে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুই মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের দেখতে পান এবং উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর কর্মকর্তাদের দাবি, কার্গো উড়োজাহাজটিকে সঠিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল এবং রানওয়েতে বিমানগুলোর জন্য দিকনির্দেশক চিহ্নও রয়েছে।
বিমানবন্দর অপারেশনস নির্বাহী পরিচালক স্টিভেন ইয়াও জানান, দুর্ঘটনার শিকার টহল গাড়িটি রানওয়ের নিরাপত্তাসীমানার বাইরে একটি সড়কে চলাচল করছিল। সেটি রানওয়ে থেকে নিরাপদ দূরত্বেও ছিল।
তিনি আরও বলেন, উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে ওই টহল গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং গাড়িটিসহ সাগরে পড়ে। গাড়িটি রানওয়েতে ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।
ইয়াও আরও বলেন, সাধারণত উড়োজাহাজটির সাগরের দিকে ঘোরার কথা নয়। অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি কোনো বিপদ সংকেতও পাঠায়নি।
ডুবুরিরা সাগরে ডুবে যাওয়া টহল গাড়ি থেকে দুজন গ্রাউন্ড স্টাফের মরদেহ উদ্ধার করেন। কর্মকর্তারা জানান, নিহতদের বয়স ছিল যথাক্রমে ৩০ ও ৪১ বছর। তাঁরা বিমানবন্দরে যথাক্রমে ৭ ও ১২ বছর ধরে কাজ করছিলেন।
হংকংয়ের পরিবহন দপ্তর তাঁদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
Comments