মোদির সঙ্গে বৈঠকে শি জিনপিং

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মন্তব্য করেছেন ভারত ও চীনের জন্য বন্ধুত্ব করাই সঠিক পথ। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের পর সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিও দেন দুই নেতা। রোববার (৩১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, ভারতের সঙ্গে চীনের "বন্ধুত্ব" করাই সঠিক সিদ্ধান্ত। রোববার নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের শুরুতে তিনি এ মন্তব্য করেন। দুই দেশকে পূর্বের প্রাচীন সভ্যতা উল্লেখ করে শি জিনপিং মোদিকে চীন সফরে স্বাগত জানান এবং গত বছর রাশিয়ার কাজানে হওয়া তাদের শেষ বৈঠকের কথা স্মরণ করেন। গতবার দুই নেতার সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০২৪ সালের অক্টোবরে, ব্রিকস সম্মেলনে রাশিয়ায়।
শি জিনপিং বলেন, "আবারও আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি আনন্দিত। এসসিও সম্মেলনে আপনাকে চীনে স্বাগত জানাই। গত বছর কাজানে আমাদের বৈঠক সফল হয়েছিল। আমরা বিশ্বের দুই জনবহুল দেশ এবং গ্লোবাল সাউথের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা, উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঐক্য ও পুনর্জাগরণ ঘটানো এবং মানবসমাজের অগ্রগতি নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের ওপর আছে। এজন্য আমাদের ভালো প্রতিবেশী ও বন্ধু হিসেবে সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত, যারা একে অপরকে সাফল্যের পথে সহায়তা করবে। ড্রাগন ও হাতির একত্রে এগিয়ে আসাই সঠিক পথ।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এ বছর চীন-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তি হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, "আমাদের সম্পর্ক কৌশলগত ও দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিকোণ থেকে সামলাতে হবে। বহুপাক্ষিকতা, বহু মেরুকেন্দ্রীক বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে। এশিয়া ও বিশ্বে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।"
চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলন দুই দিনব্যাপী চলবে। সাত বছর পর মোদি চীন সফরে গেছেন; বিশেষত গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের পর এটিই তার প্রথম সফর।
বৈঠকের শুরুতে মোদি বলেন, ভারত চীনের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ—"যা হবে পারস্পরিক আস্থা, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে"। তিনি বলেন, "গত বছর কাজানে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল, যা সম্পর্কের ইতিবাচক দিকনির্দেশনা দিয়েছে। সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের পর এখন শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।"
মোদি আরও জানান, কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা এবং দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল আবারও শুরু হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, "দুই দেশের ২৮০ কোটি মানুষের স্বার্থ আমাদের সহযোগিতার সঙ্গে জড়িত। এর মধ্য দিয়ে সমগ্র মানবজাতির কল্যাণের পথও সুগম হবে।"
দুই দিনব্যাপী এই এসসিও সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ২০টিরও বেশি দেশের শীর্ষ নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার ১০ জন প্রধান। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শি জিনপিং সম্মেলনের ২৫তম রাষ্ট্রপ্রধান বৈঠক এবং 'এসসিও প্লাস' সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং সেখানে মূল বক্তব্য দেবেন।
ভারত ছাড়াও এসসিও'র সদস্য দেশগুলো হলো— চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও বেলারুশ। এছাড়া আরও ১৬টি দেশ পর্যবেক্ষক বা "সংলাপ সহযোগী" হিসেবে যুক্ত রয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এ বছর চীন-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তি হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, "আমাদের সম্পর্ক কৌশলগত ও দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিকোণ থেকে সামলাতে হবে। বহুপাক্ষিকতা, বহু মেরুকেন্দ্রীক বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে। এশিয়া ও বিশ্বে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।"
চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলন দুই দিনব্যাপী চলবে। সাত বছর পর মোদি চীন সফরে গেছেন; বিশেষত গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের পর এটিই তার প্রথম সফর।
বৈঠকের শুরুতে মোদি বলেন, ভারত চীনের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ—"যা হবে পারস্পরিক আস্থা, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে"। তিনি বলেন, "গত বছর কাজানে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল, যা সম্পর্কের ইতিবাচক দিকনির্দেশনা দিয়েছে। সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের পর এখন শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।"
মোদি আরও জানান, কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা এবং দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল আবারও শুরু হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, "দুই দেশের ২৮০ কোটি মানুষের স্বার্থ আমাদের সহযোগিতার সঙ্গে জড়িত। এর মধ্য দিয়ে সমগ্র মানবজাতির কল্যাণের পথও সুগম হবে।"
দুই দিনব্যাপী এই এসসিও সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ২০টিরও বেশি দেশের শীর্ষ নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার ১০ জন প্রধান। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শি জিনপিং সম্মেলনের ২৫তম রাষ্ট্রপ্রধান বৈঠক এবং 'এসসিও প্লাস' সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং সেখানে মূল বক্তব্য দেবেন।
ভারত ছাড়াও এসসিও'র সদস্য দেশগুলো হলো— চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও বেলারুশ। এছাড়া আরও ১৬টি দেশ পর্যবেক্ষক বা "সংলাপ সহযোগী" হিসেবে যুক্ত রয়েছে।
Comments