দাবানলের মুখে তুরস্কের চতুর্থ বৃহত্তম শহর, সরে যাচ্ছে শত শত বাসিন্দা

কয়েক সপ্তাহ ধরে দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক হুমকির মুখে পড়েছে তুরস্কের চতুর্থ বৃহত্তম শহর বুর্সা। এর ফলে শত শত মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
উত্তর-পশ্চিম তুরস্কের শহরটির আশেপাশের বনাঞ্চলীয় পাহাড়ে গত রাতভর লাগা আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার (২৭ জুলাই) ভোরের দিকে শহরতলিতে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়।
বুর্সার গভর্নরের কার্যালয় আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি দমকলকর্মী আগুন নেভানোর জন্য লড়াই করছে। উত্তর-পূর্বের এলাকাগুলো থেকে ১ হাজার ৭৬৫ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশেপাশের বন পুড়ে যাওয়ায় বুর্সার সঙ্গে রাজধানী আঙ্কারার সংযোগকারী মহাসড়কটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রদেশের বিরোধী সংসদ সদস্য ওরহান সারিবাল এই দৃশ্যটিকে 'একটি সর্বনাশ' হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
জুনের শেষের দিক থেকে প্রতিদিন তুরস্কে কয়েক ডজন দাবানলের কবলে পড়েছে। বনমন্ত্রী ইব্রাহিম ইয়ামুকলি বলেন, গতকাল শনিবার পর্যন্ত সারাদেশে দমকলকর্মীরা ৭৬টি পৃথক অগ্নিকাণ্ডের মুখোমুখি হয়েছেন।
অসময়ের উচ্চ তাপমাত্রা, শুষ্ক আবহাওয়া এবং তীব্র বাতাসের কারণে এই আগুন জ্বলছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের জেনারেল ডিরেক্টরেট জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব সিরনাক প্রদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। জুলাই মাসের সর্বোচ্চ এই তাপমাত্রা ১৩২টি স্থানে দেখা গেছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দাবানলের প্রভাবে ১৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে গত বুধবার পশ্চিম তুরস্কের এসকিসেহিরে আগুনে ১০ জন স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধার ও বনকর্মী নিহত রয়েছেন।
বিচারমন্ত্রী ইলমাজ টুনক গতকাল শনিবার রাতে বলেছেন, ২৬ জুন থেকে ৩৩টি প্রদেশে দাবানলের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করেছেন প্রসিকিউটররা। ৯৭ জন সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
এর আগে দাবানলের তীব্রতার কারণে তুর্কি সরকার শুক্রবার দুটি পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইজমির এবং বিলেসিককে 'দুর্যোগপূর্ণ এলাকা' ঘোষণা করেছে।
Comments