কলোম্বিয়ায় জনসভায় প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মাথায় গুলি

কলোম্বিয়ার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়া মিগুয়েল উরিবে তুরবাইকে রাজধানী বোগোতার এক জনসভায় গুলি করা হয়েছে। শনিবার (৭ জুন) বিকেলে একটি পার্কে বক্তব্য দেয়ার সময় হঠাৎ করেই হামলাকারী গুলি চালায় তার ওপর। পুলিশ জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঠিক কী কারণে এই হামলা চালানো হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট হয়নি। খবর বিবিসি

আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বরাদ দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মিগুয়েল উরিবে জনসভায় বক্তব্য দেয়ার সময় তার মাথায় পরপর দুটি গুলি ও একটি গুলি লাগে হাঁটুতে লাগে।

গুরুতর আহত উরিবেকে তাৎক্ষণিকভাবে হেলিকপ্টারে করে রাজধানীর সান্তে ফে ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে। ক্লিনিকের বাইরে শত শত সমর্থক একত্রিত হয়ে প্রার্থনায় বসেছেন।

উরিবের স্ত্রী মারিয়া ক্লদিয়া তারাজোনা এক আবেগঘন বার্তায় দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, 'মিগুয়েল এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করুন, তিনি যেন চিকিৎসকদের হাতকে সঠিক পথ দেখান।'

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি মোবাইল ভিডিওতে দেখা যায়, বক্তৃতা চলাকালে আচমকা গুলির শব্দ, সঙ্গে সঙ্গেই মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন উরিবে। জনতার ভেতর আতঙ্কের হুলুস্থুল শুরু হয়।

ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উরিবের দল 'সেন্ট্রো ডেমোক্রাটিকো'। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, 'এই কাপুরুষোচিত হামলা শুধুই একজন রাজনৈতিক নেতার ওপর নয়, এটি কলোম্বিয়ার গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপরও সরাসরি আঘাত।'

কলোম্বিয়ার বামঘেঁষা প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোর প্রশাসন এক কড়া বিবৃতিতে বলেছে, 'এই হামলা শুধু একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, এটি কলোম্বিয়ার গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে হিংস্র বার্তা।'

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও টুইটারে লিখেছেন, 'উরিবের ওপর হামলা গণতন্ত্রের ওপরে সরাসরি হুমকি।'