ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলি সেনাদের গুলি, ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থিত একটি বিতর্কিত সংস্থার পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এসময় অন্তত ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। রোববার (১ জুন) আল জাজিরার আরবি প্রতিনিধি গাজা থেকে জানিয়েছেন, দক্ষিণ গাজার রাফায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলি সেনারা গুলি চালিয়েছে। এতে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রস্তাবের জবাব দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গোষ্ঠীটি বলেছে, আমরা গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চাই। যুদ্ধবিরতির জন্য গাজা থেকে সব ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।
শনিবার (৩১ মে) হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, চুক্তিতে উল্লেখিত নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে তারা ১০ জন জীবিত ইসরাইলি জিম্মি এবং ১৮ জন মৃত জিম্মির মৃতদেহ হস্তান্তরে প্রস্তুত।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'এই প্রস্তাবের লক্ষ্য স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে সব ইসরাইল সেনা প্রত্যাহার এবং আমাদের জনগণের জন্য মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা।'
বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সরাসরি কোনো সংশোধনীর কথা বলা হয়নি। তবে বিষয়সংশ্লিষ্ট এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, হামাস প্রস্তাবে কিছু সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে। তা সত্ত্বেও সামগ্রিকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক।
হোয়াইট হাউসও জানিয়েছে, প্রস্তাবিত খসড়া সম্পর্কে হামাস তাদের আপত্তিও তুলে ধরেছে। বিস্তারিত প্রতিক্রিয়ায় হামাস তাদের সুপরিচিত শর্তগুলো পুনরাবৃত্তি করেছে: একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে সম্পূর্ণ ইসরাইলি প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তার অব্যাহত প্রবাহের নিশ্চয়তা।
তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের প্রতিক্রিয়াকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন উইটকফ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, 'হামাসের উচিত আলোচনার ভিত্তি হিসেবে আমাদের উত্থাপিত কাঠামো প্রস্তাব গ্রহণ করা, যাতে আমরা চলতি সপ্তাহেই চুক্তিটি কাজ শুরু করতে পারে।
Comments