সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ মে) সৌদি আরবের রিয়াদে বক্তৃতাকালে এই ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
গত বছর আসাদ সরকারের পতনের পর এই পরিকল্পনার কথা জানালেন ট্রাম্প। বক্তৃতা দেয়ার সময় ট্রাম্প বলেন, সিরিয়ার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সময় এসেছে। এই পদক্ষেপ তাদের মহত্ত্বের সুযোগ দেবে বলেও জানান তিনি।
রিয়াদে সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ ফোরামে দেয়া বক্তব্যে ট্রাম্প আরও বলেন, 'সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে এবং তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সাথে আলোচনা করার পর তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'
এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিসেম্বরে আসাদ সরকারের পরাজয়ের পর ক্ষমতা দখলকারী আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়ার সরকারের জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার একটি উল্লেখযোগ্য জয়। এটিকে সম্ভবত ইসরাইলি সরকারের একটি আঘাত হিসেবে দেখা হবে। আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় সামরিক ও আঞ্চলিক তৎপরতা বাড়িয়েছিল ইসরাইল।
ট্রাম্প বলেন, 'সিরিয়ার মানুষ বহু বছর ধরেই প্রহসন, যুদ্ধ এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। এ কারণেই আমার প্রশাসন এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র এবং সিরিয়ার মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের দিকে প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছে।'
ট্রাম্প বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই সপ্তাহের শেষের দিকে তুরস্কে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
কয়েক দশকের স্বৈরশাসনের পর, ডিসেম্বরে বাইডেন প্রশাসনের সময় আসাদ সরকারের পতন ঘটে এবং সিরিয়ার নতুন নেতারা আশা করেছিলেন, ট্রাম্প দেশটির উপর থেকে শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কথা বিবেচনা করবেন।
সিরিয়ার উপর এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কার্যকর ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা। যার উদ্দেশ্য ছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে ও অর্থনৈতিকভাবে সিরিয়াকে চাপে রাখা।
এর আগে মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে রিয়াদে পৌঁছান ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে তাকে জাঁকজমকপূর্ণ সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছিল।
সফরের প্রথম দিনেই যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ১৪২ বিলিয়ন ডলারের (১০৭ বিলিয়ন পাউন্ড) অস্ত্র চুক্তির ঘোষণা দেয়।
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবারের সফরে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতারেও যাবেন।
সূত্র: সিএনএন
Comments