ফারুকের ৭৭-তম জন্মবার্ষিকী আজ

পুরো নাম আকবর হোসেন পাঠান দুলু। তিনি কারো কাছে আদরের দুলু মিয়া; কারো কাছে মিয়া ভাই; আবার কারো কাছে ভাইজান। সে আদরের মিয়া ভাই যিনি চিত্রনায়ক ফারুক নামেই অধিক পরিচিত।
১৯৪৮ সালের এই দিনে গাজীপুর থানার কালীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর বাবার নাম আজগার হোসেন পাঠান। জন্ম কালীগঞ্জে হলেও শৈশব ও যৌবনকাল পুরান ঢাকাতে কাটে।
১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত জলছবি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। তিনি লাঠিয়াল, সুজন সখী, নয়নমনি, সারেং বৌ, গোলাপী এখন ট্রেনে, সাহেব, আলোর মিছিল, দিন যায় কথা থাকে, মিয়া ভাই-সহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ঢালিউডের মিয়া ভাই।
লাঠিয়াল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৭৬ সালে সূর্যগ্রহণ ও নয়নমনি, ১৯৭৮ সালে 'সারেং বৌ', আমজাদ হোসেনের 'গোলাপী এখন ট্রেনে'সহ বেশকিছু ছবিতে মিয়া ভাই খ্যাত চিত্রনায়ক ফারুকের অভিনয়ন প্রশংসিত হয়। চলচ্চিত্র ও রাজনীতি জীবনের বাইরে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। ব্যাক্তিগত জীবনে ফারুক ভালোবেসে বিয়ে করেন ফারহানা ফারুককে।
স্কুল জীবন থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৬ সালে তিনি ছয় দফা আন্দোলনে যোগ দিলে তাঁর নামে ৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
চিত্রনায়ক ফারুক কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। আর সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২৩ সালের ১৫ মে সোমবার সকাল ১০টায় মৃত্যুবরণ করেন।
অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে আকবর হোসেন পাঠান ফারুক পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও আজীবন সম্মাননাসহ নানা পুরস্কার।
Comments