টানা উত্থানের পর এখন সংশোধন প্রবণতায়

টানা আটদিন ধারাবাহিক উত্থানের পর দেশের পুঁজিবাজারে গত দুই কর্মদিবস ধরে সংশোধন প্রবণতায় রয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ৩৭ পয়েন্ট কমেছে। আজ সোমবারও লেনদেনের শুরুতে নেতিবাচক ধারায় যাত্রা শুরু হয়। তবে বেলা ১২টার দিকে বাজার ঘুরে দাঁড়ায়। যদিও দিনের শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩ পয়েন্ট কমে যায়। ডিএসই শরীয়াহ সূচক কমলেও ইতিবাচক ছিল ডিএস৩০ সূচক।
সূত্র মতে, এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক 'ডিএসইএক্স' ২২ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৩২ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক 'ডিএসইএস' ৬ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৮ পয়েন্ট এবং 'ডিএস-৩০' সূচক ৩ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ লেনদেনের শুরুতে সূচক কিছুটা ধীরগতির ছিল। প্রাথমিকভাবে সূচক নিচে নামতে শুরু করলেও বাজারের গতি দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায়। ডিএসইর প্রধান সূচক দিনের মধ্যভাগে প্রায় ৩২ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন চলছিল। তবে শেষ দিকে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতায় বিক্রির চাপ বেড়ে যায় ফলে সূচক আবার নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক ২৩ পয়েন্ট কমে লেনদেন শেষ হয়। যা বাজারে একটি মিশ্র প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়।
আগের দিনের তুলনায় আজ ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। আগের দিন যেখানে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮৬৫ কোটি টাকা, আজ সোমবার তা নেমে এসেছে ৮০৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকায়। লেনদেন কমেছে প্রায় ৬০ কোটি টাকা।
ডিএসইতে আজ মোট ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বেড়েছে, ২৩০টির দাম কমেছে এবং ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল। আজ ৫৮ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। তবে ডিএস ৩০ সূচক ইতিবাচক থাকায় বোঝা যায়, বাজারে বিক্রির চাপ কিছুটা বেশি থাকলেও মৌলভিত্তির কিছু প্রতিষ্ঠান ভালো পারফর্ম করেছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, টানা কয়েকদিনের উত্থানের পর বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ স্বাভাবিকভাবেই লাভ তুলে নিচ্ছেন। এটি বাজারের জন্য অস্বাভাবিক নয়। বরং এটি বাজারের স্বাভাবিক গতি হওয়া দরকার।
তারা বলছেন, সামগ্রিকভাবে বাজারে এখন ইতিবাচক মনোভাব বিরাজ করছে। বিশেষ করে মৌলভিত্তির খাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ায় সামনের দিনগুলোতে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে।
২০৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা লেনদেন হয়ে ব্যাংক খাত শীর্ষে থাকলেও এ খাত থেকে মুনাফা তোলার প্রবণতা বেশি ছিল। তবে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বস্ত্রখাতে শেয়ার কেনার হার সবচেয়ে বেশি ছিল। বস্ত্রখাতে ৭৭ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে।
Comments