১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন

পুঁজিবাজারে বর্তমানে দারুণ চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। শুধু সূচকই নয়, লেনদেনেও এর স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে। আজ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৮৬০ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা গত ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই বিশাল অঙ্কের লেনদেন বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান আস্থা এবং সক্রিয়তার প্রমাণ বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, লেনদেনে ইতিবাচক ধারার পাশাপাশি ডিএসই'র সূচকও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রেখেছে। আগের তিন মাসের মধ্যে সূচক সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকার পর আজ ডিএসই'র প্রধান সূচকে আরও সাড়ে ২৫ পয়েন্ট যোগ হয়ে এটি ৫ হাজার ২১৯ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে। এই ধারাবাহিক ঊর্ধ্বগতি বাজারের সামগ্রিক ইতিবাচকতা ও স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত বহন করে।
অন্যদিকে, দেশের অপর প্রধান শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক এবং লেনদেন উভয়ই আগের দিনের ধারাবাহিকতায় আজ বেড়েছে।
তরে যদিও আজ ডিএসই এবং সিএসই উভয় বাজারেই লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। এটি বাজারের স্বাভাবিক একটি অংশ। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, উচ্চ লেনদেন এবং সূচকের এই শক্তিশালী বৃদ্ধি নির্দেশ করেছে, বাজারে তারল্য বাড়ছে এবং বড় বড় বিনিয়োগকারীরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। এটি দীর্ঘমেয়াদে বাজারের ভিত্তি মজবুত করবে। শেয়ারবাজারের এই ক্রমবর্ধমান চাঙ্গাভাব বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডিএসইর লেনদেন শেষে প্রধান সূচক 'ডিএসইএক্স' ২৫ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২১৯ পয়েন্টে।
অন্য সুচকগুলোর মাঝে, শরিয়াহ সূচক 'ডিএসইএস'৯ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৪৬ পয়েন্টে আর 'ডিএস৩০' সূচক ১৮ দশমিক ০৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৯৬ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে মোট ৮৬০ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ৭৭৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার।
আজ লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৭টির, কমেছে ২২৪টির অপরদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫টি কোম্পানির বাজারদর।
Comments