বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতনেও বাজার চাঙ্গা

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরু থেকে শেয়ার কেনার চাপ লক্ষ্য করা যায়। তবে শেষ পর্যন্ত সূচকের উত্থানের গতি কিছুটা কমে যায়। আজ মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারে আগ্রহ বেশি দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের। এ কারণে বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতন সত্ত্বেও সব সূচক ইতিবাচক ছিল। সূচকের এমন উত্থান সত্ত্বেও একাধিক খাত দুর্বল পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে, যার মধ্যে সাধারণ বীমা, জীবন বীমা এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাত ছিল উল্লেখযোগ্য। দিনের মধ্যভাগে প্রধানসূচক ডিএসইএক্স ৪২ পয়েন্টের বেশি বাড়লেও শেষ পর্যন্ত তা দাঁড়ায় মাত্র সাড়ে ১৫ পয়েন্টে। দিনশেষে সূচকের এ শ্লথগতি মূলত বড় বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতার ফল বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার নিয়ন্ত্রণ ও শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থার উদ্যোগ ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিনিয়োগকারীরা এখন বেশি তথ্যভিত্তিক ও সাবধানি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, যার প্রভাব শেয়ারবাজারের ধারাবাহিক চাঙাভাব ও লেনদেন বৃদ্ধিতে স্পষ্ট।
আজ ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৮৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যা গতকালের ১০ মাসের রেকর্ড (৭৩৪ কোটি ৩৮ লাখ) অতিক্রম করেছে। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো লেনদেনের এই ঊর্ধ্বগতি বাজারে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও বিনিয়োগ চাহিদার ইতিবাচক বার্তা বহন করছে।
ডিএসইতে আজ ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে, ১৫৩টির দাম বেড়েছে এবং ৬৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক 'ডিএসইএক্স' ১৫ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৩২ পয়েন্টে। অন্য সুচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৯ পয়েন্টে আর 'ডিএস৩০ সূচক ১৫ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৩৬ পয়েন্টে।
লেনদেনে শীর্ষে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি ১৭ লাখ টাকার বেশি। এছাড়া সী পার্ল বিচ রিসোর্টের ১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকার এবং লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার।
অন্য শীর্ষ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, গ্রামীণফোন, খান ব্রাদার্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, প্রাইম ব্যাংক, বিচ হ্যাচারি এবং বেস্ট হোল্ডিং।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়লেও লেনদেন কিছুটা কমে ৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা হয়েছে। সেখানে ১২৬ প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে, ৭৫টির দাম কমেছে এবং ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।
Comments