জব্দ মোটর সাইকেল বাইরে বিক্রি নিয়ে তোলপাড়
নীলফামারীর সৈয়দপুর থানায় জব্দ একটি মোটর সাইকেল বাইরে বিক্রির চেষ্টার ঘটনায় মামলার পর উঠেছে নানা প্রশ্ন।পুলিশ বলছে,মোটর সাইকেলটি থানার মালখানা থেকে চুরি হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ দায়িত্বে অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় থানার সম্পত্তি রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকা পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) হৃষিকেশ চন্দ্র বর্মণ নিজে বাদী হয়ে গত বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, মোটর সাইকেলটি এক সপ্তাহ আগে থানায় 'বড়খানার রাতে' চুরি হয়।তবে মামলার বিবরণে মোটর সাইকেল উদ্ধারের বিষয়টি স্পষ্ট করে লেখা হয়নি। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা গেছে, গত ২৯ মে রাতে সৈয়দপুর শহরের কয়ানিজপাড়ায় ফারুক হোসেন ও তার স্ত্রী মুক্তা বানুর বাড়িতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য, নগদ অর্থ, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে। পরে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়া হয়।ঘটনার পাঁচ মাস পর গত বুধবার রাতে ওই জব্দ মোটরসাইকেলটি থানার বাইরে বিক্রির চেষ্টা করে একটি চক্র।
মাদক মামলায় আটক মুক্তা বানুর ভাই আতিক হাসান বলেন,'বুধবার রাতে একজন জানায়, থানার প্রায় চার কিলোমিটার দূরে মতির মোড়ে আমাদের মোটরসাইকেল বিক্রির চেষ্টা চলছে। আমি গিয়ে কাগজপত্র মিলিয়ে দেখি, সেটি আমার বোন জামাইয়ের। কৌশলে নিজেই কেনার কথা বলে চক্রের সদস্য শাহিন হোসেনকে (২৬) বাড়িতে ডেকে আনি। বিষয়টি টের পেয়ে সে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে যায়।
সৈয়দপুরের স্থানীয় বাসিন্দা এহতেশামুল হক সানি বলেন,যে মোটর সাইকেল থানার মালখানায় থাকার কথা,সেটি বাইরে বিক্রির সময় ধরা পড়েছে।এটা প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক। যদি সত্যিই চুরি হয়, তাহলে থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে কি না,সে প্রশ্নও রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে এসআই হৃষিকেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন,১৫ অক্টোবর রাতে থানায় বড়খানার আয়োজন করা হয়েছিল।সে সময় ডেকোরেটর ও বাইরের লোকজনের যাতায়াত ছিল।পরদিন সকালে দেখি,রেজিস্ট্রারে থাকা ১৩৫ সিসির রেজিস্ট্রেশন বিহীন নেভি ব্লু রঙের মোটর সাইকেলটি নেই।বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে জিডি করেছি।
Comments