পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে চলছে শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রতিমায় রঙ ও সাজসজ্জার কাজ শেষ পর্যায়ে। রোববার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক পূজা। এবারের পূজার সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
উৎসবকে ঘিরে প্রতিটি মণ্ডপে চলছে সাজসজ্জা ও আলোকসজ্জার কাজ। শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী মাতৃ মন্দিরের দুর্গোৎসব উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিশু সাহা বলেন, "আমাদের প্রতিমার সাজসজ্জার কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে মঞ্চের সাজসজ্জা চলছে। আমরা সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি, যেন সুষ্ঠুভাবে এ উৎসব সম্পন্ন করতে পারি।"
অন্যদিকে, শহরের কাঁঠালতলী সার্বজনীন শ্রীশ্রী দুর্গা মাতৃ মন্দির উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পুলক শীল বলেন, "রাঙামাটির প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন—এখানকার পাহাড়ি-বাঙালি সকলে মিলেমিশে যেন উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পারি।"
রাঙামাটি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ৪৫টি পূজা মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। প্রতিটি মণ্ডপেই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি স্বপন কান্তি মহাজন বলেন, "বিগত বছরের মতো এবার পুজার সাবিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে মন্দিরগুলো। এবার রাঙামাটিতে ৪৫টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং সংশ্লিষ্ট সকলেই আমাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ও সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এজন্য জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা প্রশাসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।"
এ প্রসঙ্গে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, "দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপ সিসিটিভির আওতায় আনা হবে। থাকবে স্বেচ্ছাসেবক টিম, ২৪ ঘণ্টার মনিটরিংয়ের জন্য কন্ট্রোল রুম, এবং প্রতিটি মন্দিরে জরুরি ফোন নম্বর ব্যানারে টাঙানো হবে।"
প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সবার সহযোগিতায় দুর্গোৎসবের মাধ্যমে রাঙামাটিতে সকল সম্প্রদায়ের মাঝে সম্প্রীতি ছড়িয়ে পড়বে—এমন প্রত্যাশা করছেন সবাই।
Comments