স্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে স্বামীর তালাক, জড়িত নিকাহ রেজিস্ট্রার(কাজী)

নীলফামারীতে স্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তালাক সম্পন্ন করেন নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী)আব্দুল মজিদ। নীলফামারীর সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী ফারুক ইসলামের সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় মাদারীপুর জেলার এ্যানি আক্তারের সাথে
প্রেমে জড়িয়ে পড়ে ঢাকায়২৬/১১/২৩ সনে কোর্টে ও শরিয়া মোতাবেক ৩,০০,০০০লাক দেন মোহর ধার্য করিয়া বিবাহ সম্পূর্ণ হয়। বাদীনির পিতা বাদীনির সুখের কথা চিন্তা করিয়া আসামীর চাহিদা মোতাবেক ২(দুই) ভরি স্বর্ণালংকার দেয় যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ২,৭০,০০০/-(দুই লক্ষ সত্তর হাজার) টাকা ও অন্যান্য উপঢৌকন আসামীকে প্রদান করেন। অতঃপর বাদিনী আসামীর ভাড়া বাসার সংসারে চলে যায়। বিবাহের পর থেকে আসামী বিভিন্ন সময় বাদীনির নিকট যৌতুক দাবী করতে থাকেন।
বিবাহের সময় আসামী নিজেকে অবিবাহিত বলেন। কিন্তু বাদীনি পরবর্তীতে আসামীর গ্রামের বাড়ী নিলফামারী বেড়াতে গিয়ে জানতে পারে আসামী ইতিপূর্বে ৩টি বিবাহ করেছেন এবং আসামীর বিরুদ্ধে নীলফামারীর দায়রা আদালতে স্ত্রী হত্যার একটি মামলা চলমান রহিয়াছে।
অত্র আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে বিগত ০৭/১০/২০২৪ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় সি.আর ১১৪৮/২০২৪ মামলা দায়ের করিলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১নং আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে হাজিরের নিদের্শ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে আসামী বিজ্ঞ আদালতে হাজির না হলে বিজ্ঞ আদালত আসামীর বিরুদ্ধে W/A ইস্যুর আদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে আসামী বিজ্ঞ আদালত ধার্য্য তারিখের পূর্বে বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন পূর্বক জামিনের আবেদন করিলে বিজ্ঞ আদালত আপোষের শর্তে জামিন মঞ্জুর করেন। ইতিপূর্বে বাদী ১নং আসামীর বিরুদ্ধে গত১৮/০৪/২০২৪ ইং তারিখে হাতিরঝিল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। যাহার নং-৮৬৬।
পরবর্তীতে আসামীর পরিবার বাদীর সহিত বিজ্ঞ আদালতের বাহিরে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আর কোন দিন যৌতুক চাইবে না এবং নির্যাতন করবে না এবং বাদীকে তার ভরন পোষন প্রদান করবে বলে বাদী পরবর্তী ধার্য্য ৩০/১২/২০২৪ ইং তারিখে মামলাটি প্রত্যাহার করেনপরবর্তীতে বাদীকে গত ১৫/০১/২০২৫ ইং তারিখ আসামীর গ্রামের বাড়ী নিলফামারী নিয়ে যায়। যাওয়ার পরে ২০/০১/২০২৫ ইং তারিখে বাদীকে ১নং আসামী ২নং আসামীর কুপ্ররোচনায় ও সহায়তায় বাদীকে পুনঃরায় ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা যৌতুকের জন্য এবং মামলা দায়েরের জন্য এলোপাথারী লোহার রড় দ্বারা পিটাতে থাকে। বাদীর কাছ থেকে আসামীদ্বয় জোর পূর্বক নন জুডিসিয়াল ফাকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে রাখেন। পরবর্তীতে ৪নং স্বাক্ষীর সহায়তায় নীলফামরীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করে নিজের জীবন কে আসামীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ঢাকা চলে আসেন।
পরবর্তীতে বিগত ২৫/০১/২০২৫ ইং তারিখে আসামীদ্বয় বাদীনির বড় বোনের ঢাকার বাসায় এসে যৌতুকের জন্য মারপিট করা সহ বিভিন্ন হুমকি এবং সংসার করবে না বলে হুমকি প্রদান করে।এবং পরবর্তীতে খবর পায় নোটারি পাবলিক এর মাধ্যমে কোর্টে তাহার স্বামী ফারুক ইসলামের সাথে তিন লক্ষ টাকা বিনিময়ে ২০/০১/২৫ তারিখে তালাক সম্পন্ন হয়েছে কিন্তু এনি আক্তার এ সম্পর্কে জানেনা। জানতে পারি নিকাহ রেজিস্ট্রার(কাজী) আব্দুল মজিদের মাধ্যমে স্বাক্ষর জাল করে তালাক সম্পন্ন করে।
নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) আব্দুল মজিদ যোগাযোগ করা হলে প্রথমে স্বীকার করলেও পরবর্তীতে জানান এই তালাক সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা এই মর্মে বাঁদিকে আমি ১৭/০৭/২৫ সনে একটি প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছি, প্রত্যয়ন পত্রের উল্লেখ ০১/২০/২৫ কোন প্রকার রেজিস্টার বা তালাক সম্পূর্ণ হয়নি যার বালাম নম্বর ০১/২৪ ও পাতা নম্বর ৪ যা দেখানো হয়েছে তা সঠিক নহে। ভুয়া তালাকনামার বিরুদ্ধে কাজিকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য চিঠি পাঠান। কিন্তু কাজী আদালতে উপস্থিত হননি। তিনি জানান চিঠি পেতে বিলম্ব হয় এজন্য হাজির হইতে পারিনি।এবার চিঠি পাইলে উপস্থিত হইয়া বালাম বই পেশ করবো।
আসামি ফারুক ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায় নি।
Comments