কেরানীগঞ্জে কৃষির আড়ালে মদ উৎপাদন, মাদকের টাকায় আলিশান বাড়ি

কৃষি কাজের আড়ালে বাংলা মদ উৎপাদন ও বিক্রি করে নিজের নাম লিখিয়েছেন কালো তালিকায়। এলাকার ছোট থেকে বড় সর্ব মহলে পরিচিত নাম কামাল হোসেন। উপজেলার রোহিতপুর ইউনিয়নের পোড়াহাটি গ্রামের ফয়েজ উদ্দীনের ছেলে কামাল যিনি দীর্ঘদিন ধরে একই পেশায় নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে শুধু নামেই পরিচিতি পাননি হয়েছেন আঙুল ফুলে কলাগাছ। মদের টাকায় পারিবারিক ভাবে সচ্ছলতার পাশাপাশি বাড়িতে গড়ে তুলেছেন আলিসান ভবন। মদের কারখানার সামনেই নির্মিত ভবন থেকেই দেখবাল করেন নিজ সাম্রাজ্যের।
এলাকাবাসী বলছে তার কারণে এলাকার যুবকরা বিপদগামী হচ্ছে। এলাকাবাসী প্রশাসন সবাই যেনেও বাধা দেওয়া হয়না এই অবৈধ কাজে।তার কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন একই এলাকার রবি, হান্নান ও গফফার। পুলিশ ফাঁড়ির পেছনেই বিশাল মদের কারখানা দীর্ঘদিন যাবৎ কি করে চলছে এর উপযুক্ত জবাব নেই ফাঁড়িতে দায়িত্বরত কর্মকর্তার। তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ (সার্কেল) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন কবির জানান, পুলিশ ফাঁড়ির কাছে কিংবা দূরে মদের কারখানা কোথাও থাকবেনা। তথ্য পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নতুন সোনাকান্দা আদর্শ পুলিশ ফাঁড়ির ৫০০ গজের ভেতরে পোড়াহাটি এলাকায় একটি ধইঞ্চা ক্ষেতে দু'টি ড্রামের চুলায় জ্বল দেওয়া হচ্ছে মদ। পাশেই বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছড়িয়ে আছে কাঁচা মদ ভর্তি ২০/২৫ টি ড্রাম। কোথাও কম পচা কোথাও আবার বেশি।কিছু পলিথিন ভর্তি রেডি বাংলা মদ। স্থানীয় যুবসমাজ ক্ষেতের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করছে মদের ড্রাম।
স্থানীয় যুবক জহিরুল ইসলাম জানান, কামাল ও তার সহযোগীরা প্রায় ৮/১০ বছর যাবৎ এ কাজ করে আসছে। এলাকাবাসী ও প্রশাসনের অসহযোগীয় আমরা চক্রটিকে ধরতে পারছিলাম না। অবশেষে গ্রামের যুবসমাজ একত্রিত হয়ে ১৫/২০ ড্রাম মদ উদ্ধার করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সামনে ধ্বংস করেছি। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সরকারি ইস্পাহানি কলেজের শিক্ষক আসকর আলী জানান, এমন জঘন্য ব্যাক্তি কোন এলাকায় থাকলে সে এলাকা ভালো থাকতে পারেবা। আমরা মাদক কারবারি কামালের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার চাই।
তবে অভিযুক্ত কামালের ছেলে জানিয়েছেন, বাবাকে বারবার বলার পরও তাকে ফেরানো যায়নি। আর বাড়ি বাবার নয় নিজেদের টাকায় করেছেন বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল হক ডাবলু জানান, স্থানীয় লোকজন কিছু বাংলা মদ উদ্ধার করে ধ্বংস করে দিয়েছে। এব্যাপারে কেউ অভিযোগ করতে আসেনি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Comments