নির্বাচন কমিশনে হাতাহাতির ঘটনায় আতাউল্লাহকে ডাকলো ঢাকা মহানগর পুলিশ

নির্বাচন কমিশনে হাতাহাতির ঘটনায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য এনসিপি নেতা আতাউল্লাহকে ডেকেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি। আগামীকাল ১৪ই সেপ্টেম্বর রোববার নির্বাচন কমিশনে ঘটনার সময় উপস্থিত ৫জন স্বাক্ষী সহ উপ-পুলিশ কমিশনার তেজগাঁও বিভাগ, ডিএমপি, ঢাকা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষ্য প্রদানের জন্য তাকে চিঠি প্রেরণ করে পুলিশ। ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ ফরিদ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪শে আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত বিজয়নগর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের এনসিপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ আতাউল্লাহ এর অনুসারীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন যা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে আইনগত ব্যবস্থার দাবী জানিয়ে সেদিনই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন আতাউল্লাহ। এই ঘটনায় পরদিন ২৫ আগস্ট শেরে বাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করে নির্বাচন কমিশন। এর প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১১ই সেপ্টেম্বর আতাউল্লাহকে চিঠি প্রেরণ করে ডিএমপি কার্যালয়।
এই বিষয়ে আতাউল্লাহ বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবীতে আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছিলাম। আমাদের দাবী ছিল যেহেতু ঘটনা নির্বাচন কমিশনের ভবনে কমিশনের কর্মকর্তাদের সামনে সংঘটিত হয়েছে অতএব আইনগত পদক্ষেপ কমিশনকেই নিতে হবে। যেহেতু আমাদের ডাকা হয়েছে, আমরা যাবো। তিনি আরো বলেন, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করে নাই, প্রকাশ করলে প্রকৃত ঘটনা সবার কাছে পরিষ্কার হতো। আমরা এই ঘটনার ন্যায়বিচার চাই। আমরা যদি কোন গণতান্ত্রিক পরিবেশ রাখতে চাই তাহলে এই ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে না। এসব ঘটনার কারণেই ক্যাম্পাসের নির্বাচনগুলোতে তারা পরাজিত হচ্ছে। বাংলাদেশে পেশী শক্তি ভিত্তিক রাজনীতির দিন শেষ। এখন থেকে যারা স্মার্ট পলিটিক্স করবে, মেধাভিত্তিক ও মানুষের সেবাভিত্তিক রাজনীতি করবে, তারাই এগিয়ে যাবে।
ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ ফরিদ আহমেদ জানান, ঘটনার পর নির্বাচন কমিশন একটি সাধারণ ডায়রির আবেদন করে। সাধারণ ডায়রির প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে আতাউল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।
Comments