প্রকৌশল ছাত্র-ছাত্রীদের "তিন দফা দাবিতে" রাজশাহীতে বিক্ষোভ সমাবেশ

বিএসসি-ডিপ্লোমা বৈষম্য নিরসনে ৩ দফা দাবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (প্রকৌশল অনুষদ), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (প্রকৌশল অনুষদ) শিক্ষার্থীরা। "রাজশাহী বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ারগণ"- এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সকাল ১০.৩০ টায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সেন্ট্রাল লাইব্রেরি থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। এতে রুয়েটের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

তাদের দাবিগুলো হলো- অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (৯ম গ্রেড) পদের নিয়োগ সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে হতে হবে ও কোনো প্রমোশনাল কোটা চলবে না, সাব-অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (১০ম গ্রেড) শতভাগ ডিপ্লোমা কোটা পরিহার করে বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রী ছাড়া  ইঞ্জিনিয়ার উপাধি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ।

শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের প্রকৌশল খাত আজ ভয়াবহ সংকট ও বৈষম্যের শিকার। দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্লোমাধারী সিন্ডিকেট রাজনৈতিক প্রভাব ও সহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে প্রকৌশল ব্যবস্থাকে জিম্মি করে রেখেছে। ফলে শীর্ষ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ মেধাবী বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা চরমভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী  বলেন,"নবম গ্রেডে পদোন্নতির মাধ্যমে উত্তীর্ণ হওয়া যাবে না। পরীক্ষার মাধ্যমেই নিয়োগ হতে হবে। দশম গ্রেড সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবে না।"

বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পরিচালক অধ্যাপক রবিউল ইসলাম সরকার বলেন,"দশম গ্রেডকে উন্মুক্ত করে নবম গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। প্রমোশনাল মাধ্যমে নবম গ্রেডে আসা অন্যায়। এতে ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর মেধাশূন্য হয়ে যাচ্ছে এবং প্রকৃত শিক্ষার্থীদের অধিকার হরণ হচ্ছে।"

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, "শিক্ষার্থীরা আজ নায্য দাবিতে রাজপথে নেমেছে। আমরা চাই তারা দ্রুত শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাক। তবে এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।" বিক্ষোভ সমাবেশে রুয়েট, রাবি ও পাবিপ্রবি'র সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।