গরুর ফার্মের বর্জ্যে নদী দূষণ হওয়ায় আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার লেবুতলা এলাকার কাকইবুনিয়া শৈলদাহ নদীতে ডেইরি মিল্ক খামারের বর্জ্য ফেলে পানি দূষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার জন্য স্থানীয়রা টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুদ মুন্সীকে দায়ী করছেন।
তবে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ মুন্সী বলেন, প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার কাছে যান, এতে আমার কিছুই হবে না। আর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলার কোনো বৈধতা নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা ও জানাগেছে, পাটগাতি গ্রামের মৃত খায়ের মুন্সীর ছেলে মাসুদ মুন্সী দীর্ঘদিন ধরে কাকইবুনিয়া নদীর পাড়ে একটি ডেইরি খামার পরিচালনা করে আসছেন। তিনি এ খামারের গোবর, মল ও অন্যান্য বর্জ্য নদীতে ফেলছেন। এতে নদীর পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। ফলে পানি ব্যবহারে অনুপোযোগী হবার পাশাপাশি নানা রোগবালাই হবার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
লেবুতলা কাকইবুনিয়া গ্রামের স্থানীয়রা জানান, এক সময় এ নদীর পানি তারা গৃহস্থালীর কাজ থেকে শুরু করে পান করার জন্যও ব্যবহার করতেন। কিন্তু এখন খামারের বর্জ্য মিশে যাওয়ায় নদীর পানি দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে পড়েছে এবং তা আর কোনো কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। মাসুদ মুন্সীকে বারবার অনুরোধ করা হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে মাসুদ মুন্সী নদীর তীরে অবৈধভাবে খামার গড়ে তুলেছেন। তবুও পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে মাসুদ মুন্সী ক্ষোভ নিয়ে বলেন, প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার কাছে যান, এতে আমার কিছুই হবে না। তার খামার থেকে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, আমার নামে মামলা করেন আমি কোর্টে বোঝাপড়া করব।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ বিশ্বাস মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, খামারের বর্জ্য নদীতে ফেললে এতে নদীর পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হয়। বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলার কোনো বৈধতা নেই। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Comments