বাজারফান্ড জমি বন্ধক রেখে ঋণ দেওয়ার দাবিতে পিসিসিপির স্মারকলিপি প্রদান

বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা নিরসন করে দ্রুত জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় ও রাঙামাটি জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, পৌর শাখার সভাপতি পারভেজ মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবুসহ অন্যান্যরা।
কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েস ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাবীব আজম স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বাজারফান্ড জমি সংক্রান্ত প্রশাসনিক জটিলতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা—রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা মূলধন সংকটে ভুগছেন, ব্যবসার পরিধি ছোট হচ্ছে, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে না, বরং বেকারত্ব বাড়ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজারফান্ড এলাকায় জমির দাম বেশি হলেও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তা বন্ধক রেখে ব্যাংক ঋণ নেওয়া যাচ্ছে না। এতে অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলছেন, নতুন উদ্যোক্তারা ঝুঁকি নিতে পারছেন না, কর্মসংস্থানও কমছে।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালে রাঙামাটির তৎকালীন জেলা প্রশাসক বাজারফান্ড এলাকার ভূমি রেজিস্ট্রির মিউটেশন মামলা স্থগিত করেন। পরে তা চালু হলেও ২০১৯ সালে আবার বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন না।
পিসিসিপি নেতারা অভিযোগ করেন, বিষয়টি সমাধানে বারবার জেলা প্রশাসকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও দ্রুত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। তারা হুঁশিয়ারি দেন, প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পিসিসিপি তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে।
Comments