৭ দিনে কাপ্তাই হ্রদ থেকে মৎস্য আহরণে ১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা রাজস্ব

দীর্ঘ তিন মাস দুই দিন নিষেধাজ্ঞার পর পুনরায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। নিষেধাজ্ঞা শেষে গত সাত দিনে হ্রদের চারটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে মোট ৫৯৫ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা হয়, যার ফলে ১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে।
কাপ্তাই, বাঘাইছড়ির মারিশ্যা, মহালছড়ি ও রাঙামাটি এই চারটি অবতরণ কেন্দ্রে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসায় জেলেরা এবং ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিভিন্ন উপজেলা থেকে ইঞ্জিন চালিত বোটে করে চাপিলা, কাচকি, আইড়, বাইম, ফলি মাছসহ নানা প্রজাতির মাছ আনা হচ্ছে। মৎস্য ব্যবসায়ীরা শুল্ক পরিশোধের মাধ্যমে মাছ বরফযুক্ত ট্রাকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাচ্ছেন।
রাঙামাটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ী মোঃ জাহেদ জানান, হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে মাছ আহরণ কিছুটা কমে গেলেও আগামী দিনগুলোতে আরও বৃদ্ধি আশা করছেন। অন্যদিকে ব্যবসায়ী মোঃ জামাল হোসেন জানান, চলতি বছর বৃষ্টিপাতের কারণে হ্রদের পানি ময়লা এবং অতিরিক্ত হওয়ায় গত বছরের তুলনায় মাছের পরিমাণ কম পাওয়া গেছে। গত বছর একই সময়ে ২০-২২ টি মাছের গাড়ি ঢাকায় পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু এ বছর মাত্র ১০ টি গাড়ি পাঠানো সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি শাখার ব্যবস্থাপক কমান্ডার (নৌবাহিনী) মো. ফয়েজ আল করিম বলেন, "বিগত বছরে কাপ্তাই হ্রদ থেকে রেকর্ড পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন মাছ আহরণ করে ১৮ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। বর্তমানে আবহাওয়া কিছুটা প্রতিকূল ও পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় বড় আকৃতির মাছ পাওয়া কম, তবে পানির স্তর কমলে বড় মাছ আহরণ সম্ভব হবে।"
উল্লেখ্য, প্রতি বছরের ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা থাকে। এই বছর বিএফডিসির প্রস্তুতির কারণে নিষেধাজ্ঞার সময় আরও দুই দিন বাড়িয়ে ২ আগস্ট পর্যন্ত রাখা হয়। বর্তমানে প্রায় ২৭ হাজার জেলে কাপ্তাই হ্রদ থেকে মাছ ধরার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন।
Comments