পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন নয়ঃ চরমোনাই পীর

পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন নয়, চুয়াডাঙ্গায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণসমাবেশে এ কথা বলেছেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈযদ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে বিকাল ২টায় শুরু হওয়া এই ঐতিহাসিক সমাবেশে জেলাব্যাপী হাজারো নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের ঢল নামে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর, পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, "জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে জাতি এক নতুন ধাপ অতিক্রম করেছে। একদল চোর-ফ্যাসিস্ট বিদায় নিয়েছে, আর নতুন রূপে চাঁদাবাজ ও স্বৈরাচারীদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না। মানুষ এখন জানে কারা লুটেরা, কারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে। পিআর পদ্ধতি ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হবে না।
তিনি আরো বলেন,"১৯৮৭ সাল থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলামী শাসন ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় রাজপথে আছে, এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ইসলামী মূল্যবোধ, শান্তি ও সুবিচার প্রতিষ্ঠাই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য।"
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, "আগামী নির্বাচনে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। জুলাই আন্দোলনের যথাযথ বিচার, রাজনীতি সংস্কার, ও নারীদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ আর কোনোভাবে দুর্নীতিবাজ ও দখলবাজদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না।"
খুলনা বিভাগীয় সংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল বলেন, "বাংলাদেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক, ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সমস্ত ইসলামী দলগুলোকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আলোকিত ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছি। এবার জাতীয় নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর একটি বাক্স থাকবে ঈনশাআল্লাহ।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান সজিব। এছাড়াও সমাবেশে অংশ নেন জামায়াতে ইসলামীর চুয়াডাঙ্গা জেলা আমীর অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, সহ-সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক, হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা আব্দুস সামাদ।
জামায়াত নেতারা রাষ্ট্র সংস্কার ও পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন দাবির পক্ষে বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, "জুলাই ও আগস্ট মাসের রক্তাক্ত ইতিহাস মানুষকে সচেতন করেছে। জেলখানা থেকে মুক্ত হয়ে আজকের এই শান্তির পর্ব- এটি জনগণের জাগরণের ফসল। আমরা আর কোনো ভোটকেন্দ্র দখলের নির্বাচন চাই না। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় পিআর পদ্ধতি প্রয়োগ জরুরি। জুলাই হত্যাকাণ্ডের আগে কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।"
গণসমাবেশ শেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলার ১ ও ২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মুফতি জহুরুল ইসলাম আজিজী ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান সজিব হাত পাখা প্রতীকের সম্ভাব্য প্রাথী।
Comments