শেরপুরে আওয়ামীলীগ নেতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ শিক্ষক

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা বাবু ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। ২৮ জুলাই সোমবার বিকেলে কাকিলাকুড়া খামারপাড়া এলাকার সড়কে আধাঘন্টাব্যাপি ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষক মঞ্জুরুল ইসলাম কনক, আখি, স্বর্ণা, আসিফ, শাহিন মন্ডলসহ অনেকেই। মানববন্ধনে এলাকাবাসী, পরিবারের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষক মঞ্জুরুল ইসলাম কনক বলেন, আমি ১৬ বছর ধরে ভুগতেছি। আওয়ামীলীগ শাসনের সময় বাবু ও তার ভাইয়েরা আমাদের প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতো। আমার বাড়ির কবরস্থান ওরা দখল করে নিয়েছে। আমি বিচার চেয়েও কোন বিচার পাইনি। আমার বাড়ির পিছনে গাছপালা কেটে ফেলছে আমার সীমানায় গাছপালা কেটে ফেলছে। আমার এক ভাইকে ১৬ বছর আগে মেরে ফেলছে। তখন ভাই হত্যার বিচার আমি পাইনি। মামলা পর্যন্ত নেয়নি পুলিশ। আবার আরেক ভাইকে খুন করার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এত কিছু করার পরও এখনো আমাদের হুমকি দিতেছে। আমি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। আমার পরিবারের ছেলেমেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে পারছে না ওদের ভয়ে।
পরিবারের সদস্য আঁখি বেগম বলেন, আমার সন্তানের কবরের উপর তারা গাড়ি নিয়ে যায়। এই কবরস্থানে আমার শ্বশুরের কবর আছে, শাশুড়ির কবর আছে। ওরা কবরের অবহেলা করে। আমাদেরকেই সেখানে যেতে দেয় না।
ভুক্তভোগীর ভাতিজি স্বর্ণা বলেন, আমরা কলেজে যেতে পারছিনা। স্কুলে যেতে পারছিনা। আমাদের কবরস্থান দখল করে নিছে। তারা আমাদেরকে প্রতিদিন হুমকি দিচ্ছে। আমার বাবাকে রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মেরেছে। আমরা এর বিচার চাই।
ভুক্তভোগীর ভাতিজা আসিফ বলেন, বাবু ও তার ছেলে রামদা নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। আমাকে হুমকি দেয় আমাকে স্কুলে যেতে দিবে না। আমি তিন মাস বাসায় বসে থেকে পরে অন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছি।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার জাহিদ বলেন, মানববন্ধনের খবরটি আমি শুনেছি। মানববন্ধনে যে অভিযোগগুলো করা হয়েছে আমি তার ব্যপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাবুর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Comments