মাহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে নীলফামারীর ডিসি-এসপির শ্রদ্ধা

রাজধানীর উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নীলফামারীর পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক। বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ি চৌধুরীপাড়ায় মাহেরীন চৌধুরীর সমাধিস্থলে যান তারা। এ সময় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান ও পুলিশ সুপার এ.এফ.এম তারিক হোসেন খান মাহেরীন চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, একজন শিক্ষিকার এমন আত্মত্যাগ সমাজের জন্য অনুকরণীয়। আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন জলঢাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন, জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরজু মো.সাজ্জাদ হোসেনসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মাহেরীন চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরাও এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ ও প্রশাসনের শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় পুরো পরিবেশটি ছিল আবেগঘন।গত ২১ জুলাই উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ক্লাস চলাকালে পাশের একটি ভবনে প্রশিক্ষণ বিমান আছড়ে পড়ে। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় ভবনে। ধোঁয়া আর আতঙ্কে চারপাশ যখন হাহাকার, তখনও শিশু শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে ব্যস্ত ছিলেন মাহেরীন। একপর্যায়ে নিজেই আগুনে আটকে পড়েন। শরীরের অধিকাংশ দগ্ধ হয় তার। তাকে গুরুতর অবস্থায় নেওয়া হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মাহেরীনের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ি গ্রামে। সেখানেই জন্ম নেওয়া মাহেরীন ছিলেন স্থানীয় বগুলাগাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্বাহী কমিটির সভাপতি। পারিবারিক পরিচয়েও ছিলেন একজন পরিচিত মুখ। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাতিজি। তার বাবা মহিতুর রহমান জিয়াউর রহমানের খালাতো ভাই। দাদি রওশানারা চৌধুরী ছিলেন জিয়াউর রহমানের খালা। বাবা মহিতুর রহমান চৌধুরী ও মা সাবেরা চৌধুরী দুজনই সমাজসেবায় সম্পৃক্ত ছিলেন।
Comments