উচ্চ শিক্ষা নিয়ে পাহাড়ে ফেরা হলো না উক্য চিং মারমার

মা-বাবারা চায় তাদের আদরের সন্তানরা থাকুক দুধে-ভাতে। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেকে, সমাজ এবং দেশ বদলাবে। এমন প্রত্যাশা সকল মা- বাবার।
তেমন আশা নিয়ে রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের কলেজ পাড়ার বাসিন্দা উসাইমং মারমা তার আদরের সন্তানকে পাহাড়ি জনপদ থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি করায়।
২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে উক্য চিং মারমা।
উচ্চ শিক্ষার বদলে আদরের সন্তান লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। সেই শিক্ষক বাবার স্বপ্ন এখন কেবল কান্না আর শোকের গল্প।
নিহত উক্য চিং মারমা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তার বাবা উসাইমং মারমা রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া কলেজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি রাজস্থলী উপজেলা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
জানা গেছে, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দগ্ধ হন উক্য চিং মারমা। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলেও শরীরের শতভাগ অংশ পুড়ে যায়। ওইদিন রাত ২টায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কাছে হার মানেন পাহাড়ি এ কিশোর। তার অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে, পাশাপাশি তার পাহাড়ি গ্রামেও।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উক্য চিং মারমার মাসি (খালা) নেলী মারমা। তিনি জানান, তার অবস্থা ভালো ছিলো না। ডাক্তারটা চেষ্টা করেছে।
রাঙামাটি রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যার আদোমং মারমা জানান, আমি শুনেছি ছেলেটা রাতে মারা গেছে। ওরা গাড়িতে আসতেছে। আসার পর লাশ দাহ করা হবে। ছেলেটা আমার আত্মীয় হয়। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা সবাই শোকাহত।'
Comments