তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটুক্তি করলে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে চিড় ধরবে: সাঈদ আল নোমান

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে তার কোনো ক্ষতি করা যাবে না; তবে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে চিড় ধরবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাঈদ আল নোমান।
বুধবার (১৬ জুলাই) তারেক রহমান ও বিএনপির বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্র এবং দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাঈদ আল নোমান বলেন, বহু ত্যাগ ও প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। তাই স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া প্রেতাত্মা কিংবা পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে আমরা যেন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করে প্রিয় মাতৃভূমিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে না দিই।
সাঈদ আল নোমানের নেতৃত্বে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর সাগরিকা মোড় থেকে শুরু হয়ে নয়াবাজারে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে লক্ষ লক্ষ বিএনপি নেতাকর্মী অগণিত ত্যাগ স্বীকার করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়েছেন। তারেক রহমান এবং জিয়া পরিবার দেশের জনগণ ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপোষহীন থেকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তার নির্দেশে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা রাজপথে লড়াই করেছেন, রক্ত দিয়েছেন, জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে কটুক্তি করা হলে আমরা তার দাঁতভাঙা জবাব দেব।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন দীপ্তির সভাপতিত্বে এবং পাহাড়তলী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জিয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এম. নাজিম উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক নেতা জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ আজিম উদ্দিন, কাজী বেলাল উদ্দিন, হালিশহর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ মেহেদী, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন বুলু, সদস্যসচিব জমির উদ্দিন নাহিদ, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি জ্বরের রোগী বাড়ছে বেসরকারি হাসপাতালেও। চট্টগ্রাম নগরের পার্কভিউ হাসপাতালের একাধিক মেডিসিন ও শিশু বিশেষজ্ঞ জানান, কয়েকদিন ধরে চেম্বারে আসা রোগীদের চার ভাগের তিন ভাগই জ্বরে আক্রান্ত। শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. মুসলিম উদ্দিন সবুজ বলেন, 'অনেকেই আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে ছুটে আসছেন। এমন অনেক অভিভাবক পাচ্ছি, যারা নিজেরাও জ্বরে আক্রান্ত। উদ্বেগের বিষয় হলো, বেশির ভাগের শরীরে তাপমাত্রা ১০৫ থেকে ১০৬ ডিগ্রি।'
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন বলেন, 'জ্বরের রোগী হয়েছে কয়েক গুণ। জটিল রোগীদের অনেককে ভর্তি করা হচ্ছে।'
সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'শহরের পাশাপাশি জ্বরের প্রকোপ গ্রামেও। অনেকের তীব্র জ্বর, শরীর ব্যথা, দুর্বলতা। এ পরিস্থিতিতে মশা নিধন ও চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে।'
Comments