মেট্রোরেলের ছাদে উঠে বিদ্যুতায়িত হয়নি, এটা সৌভাগ্য: ডিএমটিসিএল এমডি
মেট্রোরেলের একটি ট্রেনের ছাদে মানুষ উঠে পড়ার ঘটনায় আরো বড় বিপদ ঘটতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ।
সোমবার উত্তরায় ডিএমটিসিএলের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, "সে যে বিদ্যুতায়িত হয়নি, এটা সৌভাগ্য। এর থেকে হয়ত আরো বড় কিছু হতে পারত।"
এক কিশোর মেট্রোরেলের ছাদে উঠে পড়ার পর রোববার রাত রাত ৮টা ৫মিনিটে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা মই লাগিয়ে তাদের নামিয়ে আনলেও রাতে আর ট্রেন চালানো হয়নি। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে বহু মানুষ।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএল এর এমডি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ওই ঘটনায় রাতভর পুরো মেট্রো ট্র্যাকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে আবার যথানিয়মে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
ফারুক আহমেদ বলেন, "পাবলিক সেইফটি ইজ ফার্স্ট। এটা আমরা মেনটেইন করবই।"
রাতের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, "গত রাতে আমরা একজন বাচ্চাকে পেয়েছি। আরো দুজন প্রায় উপরে উঠে গিয়েছিল। আমরা ভিডিওতে দেখেছি ছেলেটি কারওয়ান বাজারের কোনো এক জায়গা থেকে উঠেছে। সেখান থেকে আগারগাঁও আসে। সেখানে এসে ট্রেন চেঞ্জ করে। সে দুইটা ট্রেনের সংযোগস্থল দিয়ে উঠে যায়। তারপর সচিবালয় স্টেশনে যাওয়ার পরে সে ছাদের উপর ওঠে।
"সাথে সাথে সিকিউরিটি বিষয়টা জানিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন অপারেশন বন্ধ করা হয়। আরো কয়েকজন আছে, কীভাবে আছে সেটা আমরা জানি না কিছু। আমরা প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা পুরো লাইনে তাদেরকে সার্চ করি। আমরা দেখার চেষ্টা করেছি কোথাও কেউ নামছে কিনা। আমরা সারারাত ফিজিক্যালি সার্চ করেছি। সকালে সুপার ট্রেন দিয়েও দেখা হয়েছে।"
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "সব পাবলিক দরজা দিয়েই ট্রেনে ঢুকবে। কিন্তু কোনো একজন ১৬টা দরজার কোনো এক ফাঁক দিয়ে ঢুকেছে। তার উদ্দেশ্য কী ছিল সেটা আমরা এখনো জানিনা। এটা পুলিশ দেখবে।
"একজনের পিছনে একজনকে তো সিকিউরিটি হিসেবে দেওয়া সম্ভব না। আমরা সিসিটিভি দিয়েছি সিকিউরিটি সলিউশনের জন্য। আমরা এখন থেকে আরও ভিজিলেন্ট হওয়ার জন্য ইম্প্রুভ করব। আমরা এখন স্টেশনগুলোর নিচেও সিসি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করছি। তাতে অন্তত উৎস কোথা থেকে সেটা আমরা বুঝতে পারব।"
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, "মানুষের সামাজিক মূল্যবোধ বাড়ানোর জন্য আপনারা আমাকে হেল্প করেন। মানুষের মূল্যবোধ একদিনে হবে না। এখানে মিডিয়ার ভূমিকা অনেক বেশি।
"আমি ব্যক্তিগতভাবে তো সবার কাছে পৌঁছাতে পারছি না। কিন্তু আমি আপনাদের মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছাতে পারি। মিডিয়া পজিটিভ না হলে সিভিক সেন্স বাড়ানো সম্ভব না।"
Comments