‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায়!’
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সোমবার ফাঁসির রায় ঘোষণা করে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। সাজা শুনে এবার প্রতিক্রিয়া জানালেন দেশান্তরী হাসিনা। সব অভিযোগ অস্বীকার করে বললেন, এই রায় 'পক্ষপাতদুষ্ট'। সূত্র: আনন্দবাজার ডট কম।
রায় ঘোষণার পর লিখিত বিবৃতি দিয়ে হাসিনা দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই। বরং তাঁর আমলে মানবাধিকার এবং উন্নয়নমূলক অনেক কাজ হয়েছে। সে জন্য তিনি গর্বিতও। আওয়ামী লীগ নেত্রীর দাবি, 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে' এই রায় দেওয়া হয়েছে, তা-ও আবার একটি অনির্বাচিত সরকারের অধীনস্থ পক্ষপাতদুষ্ট ট্রাইবুন্যাল সেই রায় দিয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের রায়ও প্রত্যাখ্যান করেছেন হাসিনা। তাঁর কথায়, ''এই রায় অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা চরমপন্থী ব্যক্তিদের নির্লজ্জতা ও খুনি মনোভাবের প্রতিফলন মাত্র। বাংলাদেশের শেষ নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ এবং আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক ভাবে ভেঙে দিতে এই কাজ করা হয়েছে।''
তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার এই রায় আগে থেকেই নির্ধারিত। হাসিনা বলেন, ''মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তিকালীন প্রশাসন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে দেশের বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে। বিশ্বের কোনও প্রকৃত পেশাদার আইনজীবী বাংলাদেশের ট্রাইবুন্যালের এই রায় সমর্থন করবেন না।'' প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ইউনূসের আমলে বাংলাদেশ আরও 'বিশৃঙ্খল, সহিংস এবং সামাজিকভাবে পশ্চাদগামী' একটি শাসনব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে, যেখানে পদে পদে নারী ও সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ, ভিন্নমতের দমনপীড়ন চলছে। অর্থনীতিও ভেঙে পড়েছে। অথচ ক্ষমতায় থাকার জন্য এত দিন ধরে ইচ্ছা করেই নির্বাচনে দেরি করেছেন ইউনূস।
Comments