মামদানির জয়ের নেপথ্যে কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিক ও জেন-জির সমর্থন
নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি শহরের পাঁচটি বরোর (প্রশাসনিক এলাকা) মধ্যে চারটিতে জয়লাভ করেছেন। তিনি এমন সম্প্রদায়ের সমর্থন পেয়েছেন, যাদের শহরের প্রথম মুসলিম মেয়রের পক্ষে ভোট দিতে সংশয়ী বলে মনে করা হতো।
নির্বাচনী ফলে দেখা যায়, মামদানি ম্যানহাটান বরোতে নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোর তুলনায় ১০, ব্রুকলিনে ২০, ব্রঙ্কসে ১১ এবং কুইন্সে পাঁচ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছেন। স্ট্যাটেন আইল্যান্ডই একমাত্র বরো, যেখানে কুওমো জিতেছেন।
৩৪ বছর বয়সী মামদানি এবং ৬৭ বছর বয়সী কুওমোর সমর্থনের মধ্যে স্পষ্ট প্রজন্মগত ব্যবধান। মামদানি ১৮-২৯ বছর বয়সী ভোটারদের মধ্যে ৭৮ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। কুওমো এই বয়সীদের ১৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। সামগ্রিকভাবে মামদানি ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের ৭০ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে কুওমো ৫১ শতাংশ, আর মামদানি ৪০ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন।
এলাকাভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের মধ্যে মামদানি ৩৫ থেকে ৬১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। হিস্পানিকদের মধ্যে ৩৭ থেকে ৫৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। এশীয়দের মধ্যে ৪৩ থেকে ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। কুওমো শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে ৫২ শতাংশ ভোট, মামদানি পেয়েছেন ৩৮ শতাংশ।
ধর্মীয় দিক থেকে কুওমো প্রোটেস্টান্ট বা অন্যান্য খ্রিষ্টান, ক্যাথলিক এবং ইহুদিদের মধ্যে যথাক্রমে ৪৮, ৫২ এবং ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়ে মামদানির চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু মামদানি অন্যান্য ধর্মীয় এবং ধর্ম নেই গোষ্ঠীর মধ্যে যথাক্রমে ৭১ এবং ৭৬ শতাংশ ভোট পেয়ে সহজে জয়লাভ করেন। ধনীদের ঘাঁটি আপার ইস্ট সাইড এবং ট্রাইবেকায় কুওমো এগিয়েছিলেন। তবে মামদানি ম্যানহাটানের অন্যান্য পাড়ায়ও ভালো ফল করেছেন।
বিজয়ী হওয়ার পর মামদানিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি বলেছেন, এই নির্বাচন প্রমাণ করল লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার ভর্তুকি কমিয়ে ট্রাম্প ভুল করেছেন। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।
Comments