নারীর অদম্য সাহসেই গড়ে উঠবে জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবর্তন আমাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও টিকে থাকার লড়াই আমাদের হাতেই। আর সেই লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা দেন নারীরা। নারীর অদম্য সাহসেই গড়ে উঠবে জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ।
আজ রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আ্যনুয়াল কমিউনিটি অফ প্র্যাকটিসেস (সিওপি) নেটওয়ার্ক কনভেনশন ২০২৫-এমপাওয়ার উইমেন ফর ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট সোসাইটিজ (ফেজ-২) শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগী প্রধান ডিপাক এলমার, জাতিসংঘ নারী সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম বক্তব্য রাখেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগ, দারিদ্র্য বা অনিশ্চয়তার মুখেও তারা হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা ও নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় টেকসই সমাধান গড়া সম্ভব।
তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়নের দর্শন বদলাতে হবে। বড় বড় মেগা প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি নদীভাঙন ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষদের সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। প্রকৃত অর্থে টেকসই উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি দুর্বল ও প্রান্তিক মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অভিযোজন প্রকল্পগুলোকে বড় আকারে সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা ও অভিজ্ঞতাকে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
কনভেনশনে দেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে কাজ করা ১০ জন অদম্য নারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে পরিবেশ উপদেষ্টা বিভিন্ন জলবায়ু অভিযোজন উদ্যোগের স্টল পরিদর্শন করেন।
এ অনুষ্ঠানে দেশের ১০০টি নারী-নেতৃত্বাধীন নাগরিক সংগঠন অংশ নেয়। তারা স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়িত জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রম তুলে ধরেন। এছাড়াও পটের গানের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকি ও তার মোকাবিলায় করণীয় বিষয় উপস্থাপন করেন শিল্পীরা।
Comments