নদী বাঁচলে পরিবেশও টিকে থাকবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
নদী বাঁচলে পরিবেশও টিকে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, "নদী দূষণ রোধ করা গেলে জলজ প্রাণীরা মুক্তভাবে বাঁচতে পারবে। নদীও ফিরে পাবে তার স্বাভাবিক প্রবাহ। আর নদী বাঁচলে পরিবেশও টিকে থাকবে।"
শনিবার সকালে সকাল থেকে শুরু হওয়া নদী ও পরিবেশকর্মীদের নিয়ে নদী যাত্রা এবং সচেতনতা ও অনুপ্রেরণামূলক কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চন ঘাট থেকে শুরু হয়ে এ নৌযাত্রা শেষ হয় গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ধাঁধার চরে। দিনব্যাপী চলে এই নদীযাত্রা। স্রোত, নদী বাঁচানোর প্রত্যয় ও সচেতনতায় অনুপ্রাণিত হয়ে নদীপথে যাত্রা করেন শতাধিক নদী ও পরিবেশকর্মীরা।
নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর অঞ্চলে শিল্পবর্জ্যের কারণে শীতলক্ষ্যা নদী ভয়াবহভাবে দূষিত হচ্ছে জানিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, "দূষণের কারণে শুধু নদীর প্রাণহানি ঘটাচ্ছে না বরং আশপাশের পরিবেশের ভারসাম্যকেও মারাত্মকভাবে বিপন্ন করছে।"
নদ-নদী রক্ষায় শুধু সরকারের উদ্যোগই যথেষ্ট নয় জানিয়ে তিনি বলেন, নদী রক্ষায় স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা ও পরিবেশ কর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। সম্মিলিত উদ্যোগে শীতলক্ষ্যা নদীকে দূষণমুক্ত করে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
যাত্রাপথে চলে নদীর গল্প, আড্ডা, গান, ছবি আঁকা ও নদী নিয়ে মুক্তচিন্তা। অংশগ্রহণকারীদের কণ্ঠে বারবার উচ্চারিত হয়- 'নদী বাঁচাও, জীবন বাঁচাও।' দিনব্যাপী এ আয়োজনের চূড়ান্ত গন্তব্য গাজীপুরের কাপাসিয়ার ধাঁধার চর। সেখানে নদীকে ঘিরে আলোচনা, কবিতা পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় সুইডেন দূতাবাসের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান নায়োকা মার্টিনেস বেক্সস্ট্রম, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সোলায়মান হায়দার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোবাশ্বির হোসেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন, বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির এবং বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
Comments