ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন ‘রাগাসা’, নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে মানুষ

সুপার টাইফুন 'রাগাসা' সরাসরি চীনের দক্ষিণাঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসার প্রেক্ষিতে দেশটির শেনঝেন শহর সোমবার চার লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। একই সময়ে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা ঘূর্ণিঝড়ের শক্তিশালী বাতাস থেকে বাঁচতে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে।
ফিলিপাইন আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় টাইফুনটি ফিলিপাইনের জনবিরন বাবুয়ান দ্বীপপুঞ্জের কালায়ান দ্বীপে আঘাত হানে। বিকেল ৫টায় ঝড়ের কেন্দ্রস্থলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছিল, দমকা হাওয়া ঘণ্টায় ২৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছয়।
অপরি শহরের উপকূলীয় কাগায়ান প্রদেশের বাসিন্দা তিরসো তুগাগাও বলেন, 'তীব্র বাতাসে আমি ঘুম থেকে জেগে উঠি। জানালায় প্রচণ্ড আঘাত করছিল, মনে হচ্ছিল যেন কোনো মেশিন চালু হয়েছে।'
কালায়ান দ্বীপের তথ্য কর্মকর্তা হার্বার্ট সিংগুন এএফপিকে জানান, একটি স্কুলের ছাদের টুকরো উড়ে গিয়ে প্রায় ৩০ মিটার দূরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে পড়ে একজন আহত হয়েছেন। তিনি ভিডিওকলে দেখিয়ে বলেন, 'ওই নারকেল গাছগুলো দেখছেন? আগে সেখানে আটটি ছিল। এখন মাত্র চারটি দাঁড়িয়ে আছে। এটিই প্রমাণ করে ঝড় কতটা শক্তিশালী।'
ফিলিপাইনে ইতিমধ্যেই ১০ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ম্যানিলা অঞ্চলসহ ২৯টি প্রদেশে স্কুল ও সরকারি অফিস সোমবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
চীনের শেনঝেনে আরো বড় সরিয়ে নেওয়ার অভিযান হবে, যেখানে উপকূলীয় ও নিচু এলাকা থেকে কয়েক লক্ষ মানুষকে নিরাপদে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গুয়াংদং প্রদেশের বিভিন্ন শহরে স্কুল-কলেজ, কর্মস্থল বন্ধ এবং গণপরিবহন স্থগিতের ঘোষণা এসেছে।
হংকংভিত্তিক ক্যাথে প্যাসিফিক জানিয়েছে, ৫০০-র বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার দিনের আলো পর্যন্ত হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী ফ্লাইট বন্ধ থাকবে।
'অত্যন্ত প্রবল বৃষ্টি'র সতর্কতা দিয়েছে তাইওয়ানের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
Comments