পোশাকশিল্পের টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক সহযোগিতার আহ্বান
 
দেশের শীর্ষ রপ্তানি আয়ের খাত তৈরি পোশাক শিল্প জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। শিল্প উদ্যোক্তারা ইতোমধ্যেই জ্বালানি সাশ্রয়ী কার্যক্রম, নবায়নযোগ্য জ্বালানি গ্রহণ এবং সার্কুলারিটি প্রকল্পসহ নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন, যা একটি সবুজ ও অধিক সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করছে।
তবে বক্তারা মনে করেন, শুধু স্থানীয় উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। বৈশ্বিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রকৃত অংশীদার হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে এবং বিনিয়োগ ও প্রণোদনার মাধ্যমে টেকসই কার্যক্রমে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে 'বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা' শীর্ষক এক সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড ও সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া। এতে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) অংশ নেয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা নীতিমালার ঘাটতি এবং অর্থায়নের সীমাবদ্ধতার মতো চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেন।
একই সঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের প্রসার ও সমন্বিত জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কার্যকর সমাধানের প্রস্তাব দেন।
বক্তারা বলেন, এই বৈঠক প্রমাণ করে যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সহযোগিতা অপরিহার্য। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বজুড়ে টেকসই উৎপাদনের একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। এজন্য কার্বন নিঃসরণ কমাতে নীতিমালা প্রণয়ন, অর্থায়ন সহজীকরণ এবং দায়িত্বশীলতার চর্চা জোরদার করার আহ্বান জানান তারা।
বৈঠকে বিজিএমইএর সহসভাপতি বিদ্যা অমৃত খান এবং পরিচালক শেখ হোসেন মুহাম্মদ মুস্তাফিজ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া পোশাক কারখানার প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড এবং দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
 
  
 
 
 
Comments