ভোটিং সিস্টেমে প্রবাসীদের আনতে চাই: ইসি সানাউল্লাহ

'বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রবাসীরা কখনও ভোট দিতে পারেননি। এবারই প্রথম আমরা স্বল্প পরিসরে শুরু করতে চাই। প্রবাসী ভোটাররা আমাদের মোট ভোটারের ১০ শতাংশ। আমাদের লক্ষ্য প্রবাসী ভোটারদের ভোটিং সিস্টেমে আনা।' নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এসব কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন, প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকারের প্রয়োজন আছে। আশা করি, সবার মতামত নিয়ে এটা বাস্তবায়ন করা যাবে।
প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে জাতীয় সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। দিনব্যাপী সংলাপ অনুষ্ঠানে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজ, নির্বাচন কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অংশীজনদের নিয়ে এ সেমিনারে তিনি বলেন, '১৭৮টি দেশের মধ্যে ১১৫টি দেশের প্রবাসীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। ২০ শতাংশ দেশে সেই দেশের প্রবাসীরা দেশীয় ভোটারদের তুলনায় বেশি ভোট দেন। এসব দেশে প্রবাসী ভোটাররা কেবল জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।'
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, 'প্রবাসীরা ভোট দিতে না পারলে ভোটের কাস্ট হারে প্রভাব পড়ে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নির্বাচন কমিশন। আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চাই। এই উৎসবে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করতে চাই।'
অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, প্রক্সি ভোটের মাধ্যমে আমরা প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা শুরু করতে চাই। এজন্য সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থন ও মতামত প্রয়োজন। রাজনৈতিক সমর্থন না পেলে পুরো প্রক্রিয়া ভেস্তে যাবে।
সিইসি বলেন, আমাদের পাশের দেশ ভারতে এখনও প্রক্সিভোট চালু করতে পারেনি। এমন প্রেক্ষাপটে আমরা এই প্রক্সি ভোটের যাত্রা শুরু করতে চাই। এজন্য এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের সহায়তায় কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। দেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবায়তায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পরে প্রথমেই ওয়াদা করেছিলাম, আসছে নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থা করবো। প্রবাসীরাও দেখা করে ভোটের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন। আমরা এটা নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। বুয়েট, ডুয়েট, এমআইএসটিসহ দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে একটা উপায় বের করার চেষ্টা করেছি। দেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা, সাক্ষরতার হার দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সব বিবেচনা করে বিশেষজ্ঞরা প্রস্তাব করেছে। আমরা আপনাদের পরামর্শ নিয়ে এগোতে চাই।
Comments