লা লিগায় শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করলো রিয়াল

লা লিগায় সবশেষ ম্যাচটি খুব বাজেভাবে হেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে কোনো ভুল করেনি। ভিনিসিউস জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপ্পের নৈপুণ্যে জয় তুলে ফিরলো টেবিলের শীর্ষে।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে ভিয়ারিয়ালকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে লস ব্লাঙ্কোস। ভিনি দুটি আর একটি গোল করেছেন এমবাপ্পে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কাইরাতের মুখোমুখি হওয়ার আগে সবশেষ লা লিগার ম্যাচে হতাশার গল্প লিখেছিল রিয়াল। নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে হেরেছিল ৫-২ গোলের বড় ব্যবধানে। তাতে মৌসুমের অপরাজেয় যাত্রায়ও ভাটা পড়ে।
তবে কাইরাতকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর লা লিগায় জয় তুলে কিছুটা হলেও সে হতাশা কাটিয়ে উঠলো তারা। এদিন পুরো ম্যাচেই আধিপত্য করে খেলেছে শাবি আলোনসোর শিষ্যরা। ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ২৬টি শট নিয়ে ৭টি লক্ষ্য বরাবর রেখেছিল এমবাপ্পেরা। যদিও প্রথমার্ধে কোনো গোলের দেখা পায়নি তারা। ৯ শটের ২টি গোল লক্ষ্য বরাবর রাখা ভিয়ারিয়ালও প্রথমার্ধে ছিল গোলশূন্য।
এদিন অবশ্য ২২তম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল রিয়ালের। তবে এমবাপ্পের পাস পেনাল্টি এরিয়ায় পেয়ে মাস্তানতুয়োনো যে শট নিয়েছিলেন সেটি ব্লক করে হতাশ করেন রেনাতো ভেইগা। ৪১তম মিনিটে গোল আদায় করার সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল ভিয়ারিয়ালের সামনেও। তবে রিয়ালের জালে বল জড়াতে দেননি গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। আলবের্তো মোলেইরোর দুর্দান্ত থ্রু বল ধরে সঙ্গে লেগে থাকা দুই ডিফেন্ডারকে একটু পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছিলেন তানি ওলুওয়াসেই। কিন্তু শট নেন কোর্তোয়ার কাছ ঘেঁষে। ঝাঁপিয়ে হাত বাড়িয়ে নিচু শট ঠেকিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক।
৪৭তম মিনিটে গিয়ে ডেডলক ভাঙেন ভিনি। এমবাপ্পের ফ্লিকে বাইলাইনের কাছে বল পান ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। বল পায়ে ডি বক্সের ভেতরে ঢুকে আরও এগিয়ে গিয়ে দূরের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন। মাঝপথে সান্তি কোমেসানার বাড়ানো পায়ে লেগে বল দিক পাল্টে কাছের পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়ায়। ৬৯তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনি। ডি-বক্সে তাকে ফাউল করে পেনাল্টিটি উপহার দিয়েছিলেন ভিয়ারিয়ালের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রাফা ম্যারিন।
দুই মিনিট পরই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ এসেছিল জুড বেলিংহ্যামের সামনে। তবে ভালভার্দের পাস ছয় গজ দূরত্বে পেয়ে গোলরক্ষকের বাধায় জালে জড়াতে পারেননি। ৭৩তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে গতিময় শটে ব্যবধান কমান জর্জেস মিকাউতাদজে। ঝাঁপিয়েও একটুর জন্য বলের নাগাল পাননি কোর্তোয়া। চার মিনিট পর বড় একটা ধাক্কা খায় ভিয়ারেয়াল। ভিনিসিউসকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন সান্তিয়াগো মোরিনো। ১০ জনের দলে পরিণত হয় সফরকারীরা।
৮১তম মিনিটে লিগে নিজের নবম গোলটি করে রিয়ালের জয় একপ্রকার নিশ্চিত করে নেন এমবাপ্পে। ব্রাহিম দিয়াজের পাস পেয়ে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন এ ফরাসি ফরোয়ার্ড। এর দুই মিনিট পর চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। শেষমেশ ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।
৮ ম্যাচে সাত জয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফিরলো রিয়াল। ৭ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান বার্সেলোনার।
Comments